এগরা কলেজের সভাপতি নির্বাচন পর্ব নিয়ে তৃণমূলের কাজিয়া চলল বুধবারও। মঙ্গলবার কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন স্থানীয় বিধায়ক সমরেশ দাস। তাঁর নিয়োগ অবৈধ এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার কলেজের সামনে সভা করে তৃণমূলেরই অন্য আর এক গোষ্ঠী।
এ দিনের সভার আয়োজক ছিলেন এলাকায় বিধায়কের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত শহর সভাপতি তপন করের গোষ্ঠী। সেখানে অবশ্য অসুস্থতার জন্য তপনবাবু উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর অনুগামীরা অভিযোগ করেন, “কলেজের রাশ নিজের হাতে রাখতে অন্যায় ভাবে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন বিধায়ক। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তপনবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সাউ এবং কলেজেরই টিএমসিপি-র কিছু প্রাক্তন ছাত্র। উল্লেখ্য, এগরা কলেজ টিএমসিপি-র দখলে রয়েছে। সভায় ছাত্র সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, কলেজ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় বেশির ভাগ ভোটারের ছবি ও ঠিকানা নেই।
টিএমসিপি-র আরও অভিযোগ, ১৪ জানুয়ারি ওয়েবসাইটে ভোটার তালিকা দেওয়ার কথা থাকলেও, তা দেওয়া হয়েছে দু’দিন পর ১৬ জানুয়ারি। কলেজ কর্তৃপক্ষের সাহায্যে কারচুপি করে সংগঠনেরই একটি অংশ ক্ষমতায় থাকতে চাইছে বলেও সভায় টিএমসিপি-র নেতারা অভিযোগ করেন। সকলেরই অভিযোগ তির বিধায়ক গোষ্ঠীর দিকে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কলেজের টিএমসিপি নেতা উদয় পাল সংগঠনের অপর গোষ্ঠীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
এগরা কলেজ ভোটে ৩৭টি আসন রয়েছে। বুধবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে টিএমসিপি-র এক গোষ্ঠী কিছু মনোনয়ন তুলে নেওয়ায় এ দিন শেষমেষ ৩৭টি মনোনয়নই জমা পড়ে। ফলে এই কলেজে আর ভোটের সম্ভাবনা রইল না। তবে বিতর্ক থামছে না। কেমন? এ দিনের সভার আয়োজক তথা বিধায়কের বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ তাঁদের কিছু মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করেছে বিধায়ক গোষ্ঠী। অভিযোগ উড়িয়ে উদয় পালের দাবি, জোর করে নয়, অনেকে স্বেচ্ছায় মনোনয়ন তুলে নিয়েছেন।
তবে ওয়েবসাইটে ভোটার তালিকা দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে, তা মানছেন অধ্যক্ষ দীপক তামিলি। কেন? অধ্যেক্ষর জবাব, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই কিছুটা দেরি হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচন থেকে শুরু করে, মনোনয়ন পর্ব সবই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে হয়েছে।