Mihir Goswami

৩ বার ৩ দলের হয়ে বিধায়ক, নজির গড়লেন কোচবিহারের মিহির

দু’তিন জন হাতে গোনা ছাড়া তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া দলবদলু প্রায় সব নেতাই হেরে গিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২১ ২১:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

বিধানসভার ইতিহাসে অন্যন্য নজির গড়লেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। শুক্রবার বিধানসভায় এসে শপথপাঠ করলেন তিনি। এই নিয়ে ৩ বার ৩টি দলের হয়ে বিধানসভার সদস্য হলেন মিহির।

Advertisement

নব্বইয়ের দশকে যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী বলেই মিহিরের পরিচিতি ছিল উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে। ১৯৯৬ সালে কোচবিহার উত্তর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হন তিনি। প্রথম বার দাঁড়িয়ে জয়ী হন তিনি। সে বার কংগ্রেসের টিকিটে তাঁর বিধানসভায় অভিষেক হয়। কিন্তু ২০০১ এবং ২০০৬-এ ওই কেন্দ্রই তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা দীপক সরকারের কাছে পরাজিত হন। ২০১৬ সালে কোচবিহার দক্ষিণ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হন মিহির। ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দেবাশিস বণিককে হারিয়ে ১৫ বছর পর বিধানসভায় প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। কিন্তু ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। ২০২০ সালের শেষের দিকে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপি-তে। নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, কোচবিহার দক্ষিণের বদলে নাটাবাড়ি কেন্দ্রে রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি-র। হাতে গোনা দু’-চার জন ছাড়া তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া দলবদলু প্রায় সব নেতাই হেরে গিয়েছেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গে নতুন আসনে দাঁড়িয়েও জয় পেয়েছেন মিহির। তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীকে ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে বিজেপি-র বিধায়ক হয়েছেন। শুক্রবার তিনি শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হল নতুন নজির।

৩ বার দলবদল করেও বিধানসভার সদস্য হওয়ার নজির গড়ার প্রশ্নে স্মিত হেসেছেন নাটাবাড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তিনি যখন যে পথে নিয়ে গিয়েছেন, সেই পথেই চলেছি। আমার এমন পথচলার কথা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন