তারকা-হোটেলের সঙ্গে নয়া জেলের তুলনা টানলেন মন্ত্রী 

গুণমানের মাত্রার হদিস দিয়েছেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। বুধবার বারুইপুরের ধোপাগাছিতে ওই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের উদ্বোধনে তিনি বলেন, ‘‘থ্রি স্টার-ফোর স্টার হোটেলের মতো হচ্ছে। আগামী দিনে দেশের মধ্যে দর্শনীয় স্থান হিসেবে উঠে আসবে এটা। বন্দিদের মনোবৃত্তি সংশোধন করার পর্যাপ্ত পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে এখানে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৫১
Share:

বারুইপুরের ধোপাগাছিতে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।—নিজস্ব চিত্র।

মহানগরী থেকে আলিপুর জেল সরল শহরতলি বারুইপুরে। কিন্তু গুণমানের প্রশ্নে ঠিক কোথায় গেল ওই জেল?

Advertisement

সেই গুণমানের মাত্রার হদিস দিয়েছেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। বুধবার বারুইপুরের ধোপাগাছিতে ওই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের উদ্বোধনে তিনি বলেন, ‘‘থ্রি স্টার-ফোর স্টার হোটেলের মতো হচ্ছে। আগামী দিনে দেশের মধ্যে দর্শনীয় স্থান হিসেবে উঠে আসবে এটা। বন্দিদের মনোবৃত্তি সংশোধন করার পর্যাপ্ত পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে এখানে।’’

১৮ একর জমিতে গড়ে উঠছে বারুইপুর জেল। প্রথম দফায় ৮.৭ একর জমিতে ভবন তৈরি হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ৯.৩ একর জমিতে অন্য ভবনটি নির্মাণ করার কথা। এ দিনের অনুষ্ঠানে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আধুনিক সংশোধনাগার তৈরি হলেও নিকাশি ব্যবস্থা এখনও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। আশপাশের এলাকাতেও নিকাশি ব্যবস্থা নেই। সেই ব্যবস্থা তৈরির জন্য দৃষ্টি আর্কষণ করছি।’’

Advertisement

জলাজমির উন্নয়নের পরে ২০ মাসে ওই জেল নির্মাণ করা হয়েছে বলে পুলিশ আবাসন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিবাজী ঘোষের দাবি। কারা দফতরের উপদেষ্টা বংশীধর শর্মা জানান, ওই সংশোধনাগার গড়তে জলাজমি ছাড়াও ১৩টি পুকুর ভরাট করতে হয়েছে।

সংশোধনাগারের জমি নিয়ে জটিলতা রয়েছে বলে দাবি জমির মালিকদের একাংশের। তাঁদের আইনজীবী পার্থ দত্ত বলেন, ‘‘সংশোধনাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। ওই জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট চেয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’’ ওই এলাকার জমি-মালিকদের অভিযোগ, জেলের জমির একটা অংশ এবং রাস্তার জমি অধিগ্রহণ বৈধ নয়। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করছে।

এ দিন অনু্ষ্ঠানের পরে কারামন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘‘সংশোধনাগারের কোনও অংশের জমি নিয়ে আইনি জটিলতা নেই। আইনি পথেই এগোনো হচ্ছে।’’ অন্য এক পদস্থ কর্তা জানান, ভবন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সংশোধনাগারে আসার রাস্তা নিয়ে একটা জটিলতা রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত যে-নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী এগোনো হবে।

জেলে হাসপাতালের পরিকাঠামো থাকলেও সেখানে আপাতত বন্দিদের রাখা হবে না। জেল সূত্রের খবর, আলিপুর থেকে স্থানান্তরিত ৫০ জনের মধ্যে কয়েক জন বন্দি প্রাথমিক চিকিৎসায় যথেষ্ট ‘পটু’। তাই তেমন সমস্যা হবে না বলেই মত কর্তৃপক্ষের। বন্দিদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠানো হবে। সেখানে ২৫টি শয্যা রাখা হয়েছে বন্দিদের জন্য। এ দিন রান্না হয়নি। রাতে আলিপুর থেকে বারুইপুরে খাবার পাঠিয়েছে কারা দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন