বজবজের পার্টি অফিসের দেওয়াল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
অমিত শাহের সভার পরই বিজেপির পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন জায়গায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করে কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির অভিযোগ, শনিবার কলকাতার মেয়ো রোডে অমিত শাহের জনসভা ছিল। সেই জনসভায় সারা রাজ্য থেকেই প্রচুর লোক যোগ দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেও প্রচুর কর্মী-সমর্থক সভায় যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের লোকজন হাজার চেষ্টা করেও তা আটকাতে পারেনি। বিজেপির অভিযোগ, এই জন্যই শনিবার রাত দেড়টা থেকে দু’টোর মধ্যে বজবজের বাওয়ালি, ফলতার দিঘিরপাড় এবং ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির তিনটি পার্টি অফিসে হামলা চালায় তৃণমূল।
অভিযোগ, বজবজের বাওয়ালিতে বুলডোজার নিয়ে পার্টি অফিস ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়। ফলতার দিঘিরপাড় এবং ডায়মন্ড হারবারের পার্টি অফিসেও একইভাবে হামলা চালানো হয়। লুঠপাট চালিয়ে, ভাঙচুর করে কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ডায়মন্ড হারবারে পার্টি অফিসে একটি টিভি ছিল। সেটাও লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন: ভাইপোর দিকেও সিন্ডিকেট তির, পাল্টা হুমকি মামলার
এমনকি বিজেপির আরও অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানা এলাকার বিজেপির জেলা সচিব শর্মিলা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হামলা হয় ওই রাতে। শর্মিলা এবং তাঁর স্বামীকে মারধরও করে তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
দেখুন ভিডিয়ো:
এই ঘটনার জেরে রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। দলের ডায়মন্ড হারবারের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘অমিত শাহের সভায় যাওয়া আটকাতে সকাল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল আমাদের কর্মী-সমর্থকদের। তা সত্ত্বেও হুমকি উপেক্ষা করে গিয়েছেন তাঁরা। সে জন্যই কর্মী-সমর্থকদের সন্ত্রস্ত করতে, আতঙ্কিত করতে পূর্ব পরিকল্পনা মতো এই হামলা চালানো হয়েছে।’’ তৃণমূল অবশ্য এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
অভিযোগ পেয়েছে জেলা পুলিশ। কারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তা দেখা হচ্ছে।
তৃণমূল অস্বীকার করলেও, রাজ্য বিজেপি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দলীয় কার্যালয়ে হামলার দায় চাপিয়েছে তৃণমূলের উপরে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সায়ন্তন বসু নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যুবরাজ নামে পরিচিত এক সাংসদের নির্বাচনী এলাকাতেই বিজেপির একের পর এক পার্টি অফিস আক্রান্ত হয়েছে।’’ অবিলম্বে যদি এই হামলা বন্ধ না হয়, যদি বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ না থামে, তা হলে ফল ভাল হবে না— হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের।