দাসপুরে নওদার ছাত্রী উদ্ধার

নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে খোঁজ মিলল নওদা থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ছাত্রীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নওদা ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪৮
Share:

নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে খোঁজ মিলল নওদা থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ছাত্রীর।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং তার এক বান্ধবীকে নিয়ে শুক্রবার নওদার পথে রওনা দিয়েছে সেখানকার পুলিশ। তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দাসপুরের তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল নওদার ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছিল, তার সন্ধান মিলেছে। ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট করে অপহরণের অভিযোগ আসায় হরিহরপাড়ার নিশ্চিন্তপুর স্কুলের এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নওদা থানা জানায়, ধৃত শিক্ষিকার নাম রন্টি বিশ্বাস। তাঁকে গ্রেফতার করার পরে তাঁর মোবাইল ফোনের কল লিস্ট থেকে ছাত্রীর নম্বর মেলে। দেখা যায়, ১ এপ্রিলের দিন দুই আগে থেকে তার সঙ্গে ছাত্রীটির দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে। সেই ফোন থেকেই ছাত্রীর আরও বেশ কিছু বন্ধুর নাম ও ফোন নম্বর পাওয়া যায়। ফলে, সেই ফোনে কারা ফোন করেছে তা জানতে পারে পুলিশ। সেই মতো নজরদারি শুরু করা হয়। কিন্তু কিছু ফোনের অবস্থান দিনে বেশ কয়েক বার পাল্টে যাওয়ায় পুলিশের সমস্যা পড়ে।

বৃহস্পতিবার পুলিশ নিশ্চিত ভাবে জানতে পারে, ওই ছাত্রী দাসপুরে তার এক বন্ধুর বাড়িতে রয়েছে। তখনই নওদা থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরকে সেখানে পাঠানো হয়। তিনি মহিলা পুলিশ নিয়ে মেদিনীপুর রওনা হন। দাসপুর থানার সাহায্য চাওয়া হয় পরে ফোনের লোকেশন দেখে ছাত্রীর বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছে যায় দুই থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, দু’জনকে নওদায় নিয়ে যাওয়া হলেও মূল অভিযুক্তের নাগাল পাওয়া যায়নি। দাসপুরের তরুণীটি কলকাতার একটি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কলেজে পড়ার সুবাদেই কোনও বন্ধুর মাধ্যমে নওদার ছাত্রীর সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল। পুলিশের ধারণা, মূল অভিযুক্তের সঙ্গেও তরুণীর সম্পর্ক বেশ ভাল।

রাত পর্যন্ত তদন্ত যতটা এগিয়েছে, তাতে নওদা থানার পুলিশ মনে করছে, উচ্চ মাধ্যমিকের পরে বন্ধুদের সঙ্গে গোপনে বেড়াতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। বাড়ির লোকের সঙ্গে ছাড়া বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি না থাকায় সে গোপনে গিয়েছিল। অপহরণের অভিযোগ পরে সামনে আসে। কিন্তু মোট কত জন এতে জড়িত ছিল তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। অপহরণের অভিযোগ আসায় শিক্ষিকাকে ধরা হয়েছে। নওদায় পৌঁছে তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলেই গোটা ব্যাপরটা পরিষ্কার হবে বলে পুলিশ মনে করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন