বিধায়কের গাড়িতে হামলা দেগঙ্গায়

সোমবার দেগঙ্গা ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। রবিবার চৌরাশি পঞ্চায়েতের সামনে শাসকদলের এক গোষ্ঠী মঞ্চ বাঁধে। অন্য গোষ্ঠী রাতের অন্ধকারে তা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে রাতে দু’পক্ষের বোমাবাজি চলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২৯
Share:

শনিবার ছিল দু’পক্ষের মিলমিশ। দিন কাটতে না কাটতেই উল্টে গেল ছবিটা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দেগঙ্গা ফিরল চেনা মেজাজেই।

Advertisement

বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মারপিট বাধে। হামলা চলে দলের বিধায়কের গাড়িতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি দেখার জন্য জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও সিপিএমের প্ররোচনায় এমনটা ঘটেছে। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।’’

জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের ইমতিয়াজ হোসেনের কটাক্ষ, ‘‘জোর করে বোর্ড দখলের পরে ক্ষমতা নিয়ে ওদের নিজেদের খেয়োখেয়ি চলছে।’’

Advertisement

সোমবার দেগঙ্গা ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। রবিবার চৌরাশি পঞ্চায়েতের সামনে শাসকদলের এক গোষ্ঠী মঞ্চ বাঁধে। অন্য গোষ্ঠী রাতের অন্ধকারে তা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে রাতে দু’পক্ষের বোমাবাজি চলে।

গোলমাল ছড়ায় পার্শ্ববর্তী আমুলিয়া পঞ্চায়েতের সামনেও। সোমবার সকালে পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে সেখানে আসেন বিধায়ক রহিমা মণ্ডল। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। পুলিশকে লাঠি চালাতে দেখা যায়। জখম হন কয়েকজন। যদিও লাঠি চালানোর কথা মানছে না পুলিশ।

দেগঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিন্টু সাহাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রহিমা বলেন, ‘‘মিন্টুর লোকজনই আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। দুষ্কৃতী লাগিয়ে আমার গাড়ির উপরে হামলা চালিয়েছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে গোটা ঘটনাটিকে অন্য পক্ষের ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেন মিন্টুর অনুগামীরা। মিন্টু নিজে অবশ্য মন্তব্য করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন