এ বার আমলাদের নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির বকেয়া বরাদ্দ সঙ্গে সঙ্গে মঞ্জুর করতে চান।
মন্ত্রীদের নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসনকে ডেকে না-পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাই আমলাদের নিয়ে রাজ্যে যান। কিছু রাজ্যে এই অভিযান শুরুও হয়েছে। তবে তাঁদের কারও কারও দাবি, পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ সাড়া দেয় না। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, ‘‘সচিবদের নিয়ে ইতিমধ্যেই ১৬টি রাজ্যে ঘুরেছি। কর্নাটকের মতো বিরোধী শাসিত সরকারের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার কাছে আমরা সময় চেয়েছি।’’
তবে বেঙ্কাইয়া কিংবা কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের ব্যাখ্যা— সফরে গিয়ে রাজ্যের সঙ্গে ঝগড়া করা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। গয়াল বলেন, ‘‘হরিপুর ও অন্য বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি করার পথে নানা বাধা আসছে। মমতাদিদির সঙ্গে কথা বলে জট কাটাতে চাই।’’ তাঁর প্রশ্ন— তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক লড়াইয়ে রাজ্যের উন্নয়ন কেন থমকে থাকবে?
আরও পড়ুন: হিংসা ছড়ালে মন দিয়ে পেটাক পুলিশ, দাওয়াই মমতার
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘‘উন্নয়নের প্রশ্নে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা সব সময়েই স্বাগত। কিন্তু ওঁরা পদে পদে রাজ্যকে বঞ্চিত করছেন!’’ মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ, ‘‘উন্নয়নের নামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাজ্যে এসে সাম্প্রদায়িক জিগির তুলবেন— সেটা কি উচিত?’’ তৃণমূল সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী মুর্শিদাবাদে গিয়ে গঙ্গার দূষণ মুক্তির নামে আসলে হিন্দুত্বের রাজনীতি করেছেন। উমার পাল্টা অভিযোগ, অন্য রাজ্যে গেলে প্রশাসন সাহায্য করে, আমলাদের পাঠায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ করে না।
বিজেপি সূত্র বলছে, হনুমান জয়ন্তী আর রাম নবমীর দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি তাঁরা উন্নয়নের একটি ‘বাংলা-মডেল’-ও তুলে ধরতে আগ্রহী। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কলকাতায় আনার পরিকল্পনা।