মহম্মদ শামি।
ক্রিকেটার মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে যৌনকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন স্ত্রী হাসিন জাহান। শনিবার লালবাজারে হাসিনের বয়ান নিলেন গোয়েন্দারা।
যাদবপুর থানায় মামলা হলেও ঘটনার তদন্ত করছে গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ সূত্রের খবর, তড়িঘড়ি কাউকে গ্রেফতার না করে হাসিনের বয়ান ও প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার হাসিন লালবাজারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে শামি, তাঁর মা, বৌদি, বোনের বিরুদ্ধে ৪৯৮এ (বধূ নির্যাতন), ৩২৩ (মারধর), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৫০৬ (হুমকি) এবং ৩২৮ (বিষ জাতীয় জিনিস খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শামির দাদা হাসিম আহমেদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় মামলা হয়েছে হাসিনকে ধর্ষণের অভিযোগে। কার কী ভূমিকা ছিল, সেটাই হাসিনের কাছে জানতে চেয়েছেন গোয়েন্দারা। পরে সমন পাঠিয়ে তাঁদের ডাকা হতে পারে। শামির বাড়ি থেকে নেওয়া অডিও ক্লিপিংসগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে খবর। শামি নিজেও এ দিন ফরেন্সিক পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। হাসিন পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট। তাঁর আইনজীবী জাকির হোসেন জানান, তদন্তকারীরা সমস্ত সাহায্য করছেন।
হাসিনের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার সময়ে লন্ডনবাসী জনৈক ‘মহম্মদ ভাই’ শামির মাধ্যমে দুবাইয়ে পাক নাগরিক আলিশবার কাছে বিশেষ কোনও জিনিস পাঠান। এই দাবির নেপথ্যে শামির বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কাজে জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকের মত। শামির দাবি, তিনি দেশবিরোধী কোনও কাজ করেননি। তাঁর দুবাইয়ের ভিসা ছিল না। হাসিন হিরের গয়না চেয়েছিলেন। তাই দুবাইয়ে নেমে ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা নেন। সেটা হাসিনকে জানানো হয়নি।