নিয়ম মতো, মামলা শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করতে হয়।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন স্বামীর বিরুদ্ধে। ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা পেসার মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান সেই সঙ্গেই অনুরোধ করেছিলেন, ওই অভিযোগকে যেন এফআইআর হিসাবে গ্রাহ্য করা হয়। সেই মতো পুলিশ শামির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। এর পরেই শামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে লালবাজারের একটি সূত্র।
এখনও পর্যন্ত সমস্তটাই অভিযোগের স্তরে রয়েছে। অভিযোগপত্রে হাসিন যা যা লিখেছেন, তার উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। এর পর তদন্ত করে দেখা হবে, ওই অভিযোগের সত্যতা। প্রাথমিক ভাবে শামির সঙ্গে গোয়েন্দাদের একপ্রস্ত কথা হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
নিয়ম মতো, মামলা শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করতে হয়। সেই সময় পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতির কথাও জানাতে হয় আদালতে।
আরও পড়ুন
সুইং সুলতান বোল্ড যখন ‘গন্দা চ্যাট’-এ
প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দাদের মত, হাসিন যে সব অভিযোগ এনেছেন, আইনের পরিভাষায় তার প্রায় সবগুলিই গার্হস্থ হিংসার মামলা। যার অনেক কিছুই প্রমাণ সাপেক্ষ। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসিনকে আইন মোতাবেক বিভিন্ন প্রমাণও দিতে হবে। শামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্যাসত্য বোঝার চেষ্টা হবে।
কিন্তু, গোয়েন্দাদের ডাকে যদি শামি সাড়া না দেন? সে ক্ষেত্রে পুলিশ কী করবে? লালবাজারের ওই সূত্রটি বলছে, এমনটা যদি হয়, তা হলে পুলিশকেও আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। আদালতের নির্দেশনামা নিয়েই শামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। এক জন খ্যাতনামা ক্রিকেটার শামি। তাঁর পরিচিতি রয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে। গোয়েন্দাদের সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
আরও খবর
শামির সেই অডিও টেপ নিয়ে গেল পুলিশ, কী আছে সেখানে?
শুক্রবার হাসিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর সঙ্গে শামির যে কথোপকথন হয়েছে, তার রেকর্ড শুনিয়েছিলেন। পুলিশ সেই রেকর্ডের অডিও ক্লিপ সংগ্রহ করেছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। এ ছাড়া হাসিনের গোপন জবানবন্দির আবেদনও জানানো হবে আদালতে, এমনটাই জানিয়েছে ওই সূত্র।
হাসিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার শামির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন (ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৯৮এ), ইচ্ছাকৃত ভাবে আহত করা (৩২৩), খুনের চেষ্টা (৩০৭), ধর্ষণ (৩৭৬), অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন (৫০৬), বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা (৩২৮) এবং অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টার (৩৩৪) মামলা দায়ের করা হয়। এর ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা কী কী বিষয় খতিয়ে দেখছেন? প্রথমত তাঁরা বুঝতে চাইছেন শামি-হাসিনের দাম্পত্য জীবন আগাগোড়া কেমন ছিল; ঠিক কবে থেকে সম্পর্ক খারাপ যেতে শুরু করে; কেনই বা সম্পর্কের ধরন বদলে গেল। এর বাইরেও একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।