একশো দিনের কাজ প্রকল্পের অর্থ মেলেনি। তাই স্কুলবাড়ি রং করার জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরের ভরসা এখন বিভিন্ন দফতরের অব্যবহৃত অর্থ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, স্কুলবাড়ি রং করার বিষয়টি নিয়ে ওই দফতরের কর্তারা কয়েক দিন আগে বৈঠকে বসেন। কেন্দ্রের নির্দেশের পরেই অর্থের জোগান নিয়ে সমস্যায় পড়ে যায় স্কুলশিক্ষা দফতর। তার সমাধান খোঁজা হয় ওই বৈঠকে। সেখানে স্থির হয়, রাজ্যে সরকারের কয়েকটি দফতরে যে-অর্থ ব্যবহৃত হয়নি, তা ব্যবহার করে স্কুলবাড়িতে রঙের কাজ শুরু হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে ‘অনুরোধপত্র’ও পাঠাতে চলেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। কয়েক দিনের মধ্যেই তা পৌঁছে যাবে বলে খবর। স্কুলশিক্ষা দফতরেরও প্রায় দেড়শো কোটি টাকা খরচ হয়নি। স্কুলবাড়ি রং করার জন্য সেই অর্থও ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন উন্নয়ন পর্ষদকেও এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। নবান্নের এক আধিকারিক জানান, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর কিংবা সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর তাদের কার্যপরিধির মধ্যেই স্কুলের পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ করে। স্কুলভবন রং করাটাও পরিকাঠামোর মধ্যে পড়ে। এটা আলাদা ভাবে দেখার কিছু নেই।
জানুয়ারির মাঝামাঝি স্কুলশিক্ষা দফতর এক নির্দেশিকায় জানায়, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলে রং করার জন্য ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় একশো দিনের কাজ প্রকল্পে স্কুল রং করা হবে। আপত্তি জানায় কেন্দ্র। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সচিব এবং একশো দিনের কাজ প্রকল্পের কমিশনারকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব। তাতে তিনি জানান, স্কুলভবন রং করার বিষয়টি একশো দিনের কাজ প্রকল্পের আওতায় নেই। সেই জন্য এই ধরনের কাজ করলে তার পুরোপুরি ব্যয়ভার বর্তাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উপরেই। কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিবের এই ব্যাখ্যার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। স্কুলভবন রং করার বিষয়ে নির্দেশিকা বদলের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে অনুরোধ করে পঞ্চায়েত দফতর। এই সমস্যাতেই স্কুলবাড়িতে রঙের কাজ থমকে গিয়েছিল।