সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি। আর সেই সঙ্গে প্রচণ্ড বজ্রপাত। দুয়ের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাজ পড়ে উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুও হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের হাত ধরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়ল। আগামী কয়েক দিন এমনটাই চলবে।
সোমবার ভোর থেকেই আকাশ কালো করে মেঘ করে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই নামে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া আর তুমুল বজ্রপাত। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া— দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, অবশেষে নিম্নচাপের হাত ধরে পুরোদমে বর্ষা ঢুকে পড়ল রাজ্যে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমীবায়ু প্রবল ভাবে সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ১১ জুন এ রাজ্যে বর্ষা ঢুকেছিল। কিন্তু আচমকাই গরম হাওয়া ঢুকে পড়ায়, বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প উধাও হয়ে যায়। কিন্তু, সোমবার নিম্নচাপের জন্য ফের সক্রিয় হয়েছে বর্ষা। নতুন করে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, গোটা পশ্চিমবঙ্গেই বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে, বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আদ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবেই।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: মেডিক্যাল পড়ুয়ার ডেঙ্গি, হানা উত্তরেও
আরও পড়ুন: অমিতের সফরের মুখেই ত্রিলোচন খুনে গ্রেফতার, কেন খুন জানে না সিআইডি!
এ দিন উত্তর ২৪ পরগনার দুই মহকুমা বনগাঁ এবং বসিরহাটে বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বনগাঁর কেউটিপাড়ায় মাঠে অন্যান্যদের সঙ্গে খেতমজুরের কাজ করছিলেন মফিজুল মণ্ডল (৪০)। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎ করেই আকাশ কালো করে আসে। সঙ্গে বাজ পড়তে থাকে ঘন ঘন। সেই বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই মারায় যান মফিজুল। ইলিয়াস বিশ্বাস নামে অন্য এক খেতমজুর গুরুতর জখম হন। তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
অন্য দিকে বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় এ দিন সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে একটানা প্রবল বজ্রপাত। বাজ পড়ে ভ্যাবলা এলাকায় মারা গিয়েছেন শহিদুল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। তিনি ১০০ দিনের কাজের কর্মী ছিলেন। সকাল বেলায় মাঠে কাজ করার সময়েই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।