গুরুঙ্গকে প্রকাশ্যে হুমকি অনীতের

রবিবার কার্শিয়াঙে গুরুঙ্গের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘‘আত্মসমর্পণ করুন, নইলে জঙ্গলেই থাকুন।’’ গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে এতটা কড়া স্বর এর আগে পাহাড়ে কখনও দেখা যায়নি। পাহাড়ে ঘিসিঙ্গ, গুরুঙ্গের পরে এ বার তাই তামাঙ্গ-থাপার যুগ শুরু হতে চলেছে বলেও অনেকে মনে করছেন।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৬
Share:

কার্শিয়াঙের সভায় অনীত থাপা। ফাইল চিত্র।

বিমল গুরুঙ্গকে এ বার সরাসরি হুঁশিয়ারি আলোচনাপন্থী মোর্চা নেতা অনীত থাপার।

Advertisement

রবিবার কার্শিয়াঙে গুরুঙ্গের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘‘আত্মসমর্পণ করুন, নইলে জঙ্গলেই থাকুন।’’ গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে এতটা কড়া স্বর এর আগে পাহাড়ে কখনও দেখা যায়নি। পাহাড়ে ঘিসিঙ্গ, গুরুঙ্গের পরে এ বার তাই তামাঙ্গ-থাপার যুগ শুরু হতে চলেছে বলেও অনেকে মনে করছেন।

সম্প্রতি বন্‌ধ ডেকেও তা সফল করতে পারেননি গুরুঙ্গ। পাহাড়ের সাধারণ মানুষের ধারণা, দার্জিলিং, কালিম্পঙে গুরুঙ্গের পায়ের তলার মাটি সত্যিই অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। না হলে অনীত প্রকাশ্যে এমন হুমকি দিতে পারতেন না। এর আগে বিনয় তামাঙ্গ, অনীতরা খুব বেশি হলে গুরুঙ্গকে প্রকাশ্যে এসে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে বলেছিলেন। এখন তাঁরা যে সেই অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছেন, তার প্রমাণ মিলল আজ। বোঝা গেল, গুরুঙ্গের পায়ের তলা থেকে সরে যাওয়া মাটি তামাঙ্গ, থাপারা অনেকটাই দখল করেছেন। এ দিনই কালিম্পঙে দলীয় দফতরে ফের গুরুঙ্গের ছবি পতাকা সরিয়ে দেওয়া হয়। তেমনই, গুরুঙ্গ ঘনিষ্ঠ জেলার সভানেত্রী বন্দনা ইয়নজনকে একাধিক মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

রবিবার দুপুরে কার্শিয়াং স্টেশন লাগোয়া এলাকায় অনীতের সভায় ভিড়ও উপচে পড়ে। বাকি নেতানেত্রীরাও গুরুঙ্গ সম্পর্কে খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। অনীতের কথায়, এত দিন দিশাহীন আন্দোলন হয়েছে। বোমা, গুলি চলছে। অনীত বলেন, ‘‘আর উনি জঙ্গলে বসে অডিও-ভিডিও খেলছেন।’’ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিকেও দিল্লিতেই থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনীত। সেই সঙ্গে অনীতের অভিযোগ, ‘‘সঠিক পথ না দেখিয়ে বিজেপি আমাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট করেছে।’’

তবে অনীতও জানাতে ভোলেননি, আলাদা রাজ্যই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু এ কথাও জানাতে ভোলেননি যে, ঘিসিঙ্গ, গুরুঙ্গরা তা আনতে পারেননি। তাহলে তা কী করে আনতে হবে? অনীতের প্রস্তাব, তেলঙ্গানা নেতাদের সঙ্গে যোগযোগ রেখে একটি কমিটি গঠন হচ্ছে।

তবে গুরুঙ্গপন্থী কয়েকজনকেও সভার আশপাশে দেখা যায়। তাঁদের দাবি, গুরুঙ্গ কোণঠাসা হয়ে পড়লে তাঁদেরও গিয়ে আলোচনাপন্থীদের পাশেই দাঁড়াতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন