ফাইল চিত্র।
গত মাসের পয়লা তারিখে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসেছিলেন সিকিমের নামচিতে। আচমকা পুলিশ হানায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। এর এক মাস সাত দিন পরে, ৭ তারিখ ফের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক করতে চাইছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। কারণ, রাজনাথ সিংহ যে কেন্দ্রীয় স্তরে বৈঠকের কথা বলেছিলেন, তা ৯ তারিখের মধ্যে ডাকা হতে পারে। তার আগে প্রতিনিধিদল এবং দিল্লির বৈঠকে কী বলা হবে, তা ঠিক করে ফেলতে চাইছেন গুরুঙ্গ। তাই ফের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের চিন্তাভাবনা।
কিন্তু গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা, ভানুভবনে হামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। নানা সূত্রে সম্ভাব্য বৈঠকের খবর পেয়ে সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। সতর্ক বিনয় তামাঙ্গ, অনীত থাপারাও।
আরও পড়ুন: দিলীপদের পাহাড় সফর ঘিরে বিতর্ক
মোর্চার সূত্র জানাচ্ছে, এর আগে জিএনএলএফের আন্দোলেনের সময়ে এমনই বৈঠক করেছেন গা ঢাকা দিয়ে থাকা গুরুঙ্গ। তিনি জিপে চেপে যাচ্ছেন, জানতে পেরে পুলিশ তিস্তাবাজারে হাজির হয়। কিন্তু তার আগেই জিপ থেকে নেমে তিনি মিরিক চলে যান। এ বারেও এমনই কিছু করতে পারেন তিনি, মনে করছে পুলিশ। গুরুঙ্গ শিবিরেরও খবর, রাতারাতি বৈঠকের দিন-জায়গা পাল্টে ফেলা হতে পারে।
ফের কেন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকতে মরিয়া গুরুঙ্গ? মোর্চা সূত্রের খবর, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় দিল্লির বৈঠকে ডাক পেলেও যেতে পারবেন না তিনি। পরিবর্তে যাবে তাঁর প্রতিনিধিদল। সেই দলই বেছে দিতে চান তিনি। তাঁরা দিল্লির বৈঠকে কী বলবে, তা-ও ঠিক করে দিতে চান। মোর্চা সূত্রে খবর, এই দলটি দিল্লিকে বোঝাবে, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে গুরুঙ্গ না থাকলে সমাধানসূত্র মেলা অসম্ভব। আলোচনায় যাতে গুরুঙ্গ যোগ দিতে পারেন, সে জন্য হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদনও করা হতে পারে। মোর্চার এক নেতা জানান, এক দিকে রাজনৈতিক লড়াই, অন্য দিকে আইনি পথে মোকাবিলা— দুই চালেই ফের স্বমহিমায় ফিরতে চান গুরুঙ্গ।