আক্রোশ থেকেই খুন, দাবি

বুধবার ঘর বন্ধ করে ছোট ছেলেকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের গলসির খানো-ডাঙাপাড়া থেকে গ্রেফতার হন তিনি। মৃত শেখ ইকবালের সঙ্গে ওই ঘরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তুহিনা বেগম ও দুই কিশোরী মেয়ে। তাঁরাও গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:১৯
Share:

প্রতীকী চিত্র। (শাটারস্টক)

‘ছেলেকে না মারলে ছেলেই আমাকে খুন করে দিত’, পুলিশের দাবি জেরায় তাঁদের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন শেখ ইউসুফ।

Advertisement

বুধবার ঘর বন্ধ করে ছোট ছেলেকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের গলসির খানো-ডাঙাপাড়া থেকে গ্রেফতার হন তিনি। মৃত শেখ ইকবালের সঙ্গে ওই ঘরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তুহিনা বেগম ও দুই কিশোরী মেয়ে। তাঁরাও গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি।

বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছি। ফরেন্সিক তদন্ত করানো হবে।’’ গলসি থানা থেকে কলকাতার বেলগাছিয়া স্টেট ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে সিনিয়র সায়েন্টিস্টের নেতৃত্বে একটি দল পাঠানোর জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে এমনও যে হয়, এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন ওই পাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, রেলের ট্র্যাকম্যান ইউসুফ বরাবরই খুব মিতব্যয়ী ছিলেন। পাড়ার বা গ্রামের কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানেও সাহায্য করতেন না। নিজের শালার মেয়ের সঙ্গে ছোট ছেলের বিয়ে দেওয়ার পর থেকে ইকবালের শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তিতেও তাঁর নজর ছিল, অভিযোগ প্রতিবেশীদের একাংশের।

ধৃতের এক সময়ের সহকর্মী শেখ আকবর আলি বলেন, ‘‘মাস দুয়েক আগে ছেলের সঙ্গে মারামারির পর থেকেই আক্রোশ বেড়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যেই বলত, ‘ছেলেকে খুন করে দেব’। তবে সত্যিই এ ভাবে পুরো পরিবারকে পুড়িয়ে দেবে ভাবতে পারিনি।’’ তদন্তকারীদেরও দাবি, গ্রামে সালিশি ডেকে ইকবালকে বাড়ি তৈরির জন্য টাকা ও জায়গা দিতে বলা হয়েছিল ইউসুফকে। সেটাই মেনে নিতে পারেননি তিনি। আক্রোশ বেড়েছিল তাতে। এ দিন ওই বাড়িতে এসেছিলেন ইউসুফের ভাগ্নে শেখ রজব আলি ও ইউসুফের বড় মেয়ে বিউটি বেগম। তাঁরাও বলেন, “এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, ভাবতেই পারছি না!’’

গ্রামবাসীরা জানান, ইকবাল ও তাঁর দাদা শেখ একরাম আলাদা থাকতেন। ইউসুফ ও তাঁর স্ত্রী মাবিয়া বিবিও পৃথক ভাবেই থাকতেন। তবে একরামের সঙ্গে ইউসুফের খুব ভাল বোঝাপড়া ছিল। পড়শিদের একাংশের দাবি, ভাইকে সম্পত্তির ভাগ দিতে রাজি ছিলেন না একরামও। পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করেছে। তাঁর পরিবারকেও পাওয়া যায়নি এ দিন। পুলিশের দাবি, এ ধরনের ‘অপরাধ’ বিরল। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement