Piyali Basak

অন্নপূর্ণার শিখরে বঙ্গকন্যা পিয়ালি

অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাহায্য ছাড়াই অন্নপূর্ণা ১ - মাকালু জোড়া অভিযানের লক্ষ্যে ১৬ মার্চ রওনা হন পিয়ালি। দু’মাসের অভিযানে খরচ প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা, যার জন্য সর্বসাধারণের সাহায্য নিতে হয়েছে।

Advertisement

স্বাতী মল্লিক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৮
Share:

পিয়ালি বসাক। ফাইল চিত্র।

পাঁচে পা! এভারেস্ট-সহ নেপাল হিমালয়ের চারটি আট হাজারি শৃঙ্গের শীর্ষ ছোঁয়া আগেই হয়ে গিয়েছিল বঙ্গকন্যার। সোমবার পঞ্চমটিকেও ছুঁয়ে ফেললেন চন্দননগরের প্রাথমিক স্কুলশিক্ষিকা পিয়ালি বসাক। সোমবার সকালে পৃথিবীর দশম উচ্চতম অন্নপূর্ণা ১-এর (৮০৯১ মিটার) শিখরে পৌঁছন বছর বত্রিশের ওই পর্বতারোহী। এর পরের লক্ষ্য মাকালু (৮৪৮১ মিটার)।

Advertisement

অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাহায্য ছাড়াই অন্নপূর্ণা ১ - মাকালু জোড়া অভিযানের লক্ষ্যে ১৬ মার্চ রওনা হন পিয়ালি। দু’মাসের অভিযানে খরচ প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা, যার জন্য সর্বসাধারণের সাহায্য নিতে হয়েছে। বিনা অক্সিজেন সিলিন্ডারে অন্নপূর্ণার শিখর ছোঁয়ার চেষ্টায় শনিবার রওনা হন তিনি। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য সম্ভব হয়নি তা। পিয়ালির অভিযানের আয়োজক সংস্থা ‘পায়োনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার’-এর কর্ণধার পাসাং শেরপা কাঠমান্ডু থেকে ফোনে বলেন, ‘‘রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ক্যাম্প ৪ থেকে সামিট পুশ শুরু করেছিলেন পিয়ালি। আজ সকাল ৮টা ২৫ মিনিট (স্থানীয় সময়) নাগাদ দাওয়ানুরু শেরপাকে সঙ্গে নিয়ে অন্নপূর্ণার সামিটে পৌঁছেছেন। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়েছে তাঁকে। আজ সন্ধ্যায় ক্যাম্প ১-এ নেমে এসেছেন পিয়ালি। শেরপা জানিয়েছেন, আবহাওয়া ভাল ছিল।’’

পিয়ালির বোন তমালি বসাক হায়দরাবাদ থেকে বলেন, ‘‘খুব আনন্দ হচ্ছে। মা-ও স্বস্তি পেয়েছেন। গত দু’দিন ধরে বড় মেয়ের জন্য চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।’’ তবে অসুস্থ, শয্যাশায়ী বাবা তপন বসাক এর কিছুই টের পান না। মা স্বপ্না বসাক বলছেন, ‘‘বাবার হাত ধরেই ছোটবেলায় মেয়ের পাহাড়প্রেমের শুরু। অথচ এখন সেই বাবা মেয়ের কীর্তির কিছুই বুঝতে পারেন না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন