ফাইল চিত্র।
নদিয়ায় বিধায়ক খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মুকুলকেও এই খুনের তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থ বা আদালতের প্রয়োজন ছাড়া তিনি নদিয়ায় ঢুকতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, মুকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে এক দিন আগে নোটিস পাঠাতে হবে। নোটিস পাঠাতে হবে তাঁর আইনজীবীকেও। ইতিমধ্যে মুকুল কোনও তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারবেন না। কোনও সাক্ষীকে ভয় দেখানোও চলবে না।
মুকুলের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান। মুকুলের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণেই তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। সরকারি কৌঁসুলি কে টি এস তুলসী পাল্টা দাবি করেন, মামলার দুই সাক্ষী পুলিশকে জানিয়েছেন, মুকুলই খুনের নির্দেশ দেন বলে তাঁদের দৃঢ় সন্দেহ। খুনের পরিকল্পনাও তাঁরই।
তা শুনে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘‘এই খুনের সঙ্গে অভিযুক্তের সরাসরি যোগাযোগ যে রয়েছে তার যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা কী? সন্দেহের একটা কারণ থাকবে তো!’’ সরকারি কৌঁসুলি জানান, সবে তিন দিন হল তদন্ত শুরু হয়েছে। আরও সময় লাগবে। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, তদন্তের কী অগ্রগতি হল, সে সম্পর্কে ৫ মার্চ আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। ওই দিনই আগাম জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি।