Mukul Roy

পরিবারই তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানাতে চায়, বললেন মুকুল, তাঁর পদ্মে ফেরার ইচ্ছায় ক্ষোভ দলে

কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এমন জল্পনা ছড়াতেই বিজেপি দফতরে বিক্ষোভ দেখান এক দল কর্মী-সমর্থক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:২৫
Share:

মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে এসে তৃতীয় দিনেও কার্যত গা-ঢাকা দিয়ে রইলেন মুকুল রায়। সাক্ষাৎকার দিলেন কেবল একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে। দাবি করলেন, বাড়ির লোক তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।

Advertisement

সোমবার রাতে হঠাৎই দিল্লি উড়ে এসেছিলেন মুকুল। দাবি করেন, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে তাঁর সফর। তবে সূত্রের মতে, তিনটে দিন কেটে যাওয়ার পরেও বিজেপির কোনও নেতা দেখা করেননি মুকুলের সঙ্গে। রাজ্য নেতৃত্বের মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও চাইছেন না, মুকুল বিজেপিতে ফিরে আসুন। এই আবহে আজ মুকুলের দলে ফিরে আসা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “উনি যখন দল ছেড়েছিলেন তখন তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা, দলের সহ-সভাপতি। তাই তাঁর বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই।”

এ দিন একটি সাংবাদমাধ্যমের কাছে মুকুল দাবি করেন, তিনি সুস্থ আছেন। তবে বাড়ির লোক তাঁকে অসুস্থ প্রমাণ করতে চাইছিল। মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণের চেষ্টা হচ্ছিল। বলা হচ্ছে, তাঁর কাছে টাকা নেই। মুকুল বলেন, “আমি আগামী দিনে বিজেপির হয়ে কাজ করতে চাই। তৃণমূলে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম। উনি শুনেছিলেন। কিন্তু কিছু বলেননি।”

Advertisement

কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এমন জল্পনা ছড়াতেই বিজেপি দফতরে বিক্ষোভ দেখান এক দল কর্মী-সমর্থক। ‘বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ’-এর নামে ওই কর্মী-সমর্থকেরা শুক্রবার দুপুরে মুকুল রায়কে দলে ফেরানোর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের দাবি, মুকুলের হস্তক্ষেপেই রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করার ক্ষেত্রেও মুকুলের ভূমিকা ছিল বলে তাঁদের অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে দিল্লি থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কোনও ঘটনায় কর্মী-সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। কী হয়েছে খবর নিয়ে দেখব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন