New Town

নিউটাউনে দিনের আলোয় খুন! রাস্তায় পড়ে শিশুর রক্তাক্ত দেহ, পাশে ছটফট করছেন গুরুতর জখম মা

স্থানীয়দের কয়েক জন জানিয়েছেন, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন বাড়িতে ওই শিশুটি এবং তার মা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। বাকিরা কাজে বাইরে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০১
Share:

শিশুকে কুপিয়ে খুন নিউটাউনে। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ

এক শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তার নিউটাউনের বাড়ি থেকে। মৃতের নাম বিভাংশু পটেল (৭)। গুরুতর জখম হয়ছেন ওই শিশুর মা-সহ দুই মহিলা। বৃহস্পতিবার কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে মূল অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে চিৎকার শুনে তারা বিভাংশুদের বাড়িতে গিয়ে দেখে, ফালা করে কাটা হয়েছে ছোট্ট শরীরটাকে। মায়ের কাছেই রাস্তার উপর পড়েছিল সে। নিথর শরীর। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল জায়গাটা। বিকেল সাড়ে তিনটের সময় পাড়া যখন প্রায় নিঝুম, ঠিক তখনই একটা আর্তনাদ শুনে সচকিত প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন ওই দৃশ্য। দেখা যায় এক পরিচিত যুববককেও। মাংস কাটার ছুরি হাতে ছুটে পালাচ্ছিল সে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ছিল বিভাংশু। এলাকায় সে ছোটবাবু বলে পরিচিত। কয়েক বছরের বড় দাদা আর মায়ের সঙ্গে থাকত একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত সে। বৃহস্পতিবার এই বিভাংশুকেই তার বাড়ির সামনে থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায় তার মা এবং অণিমা দাস নামের এক প্রৌঢ়াকে। তিনিও ওই বাড়িতেই পাশাপাশি ভাড়া থাকতেন। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, যে যুবককে ছুটে পালাতে দেখেছেন তাঁরা, তিনিও ওই বাড়িতেই থাকতেন। নাম লক্ষ্মণকুমার।

Advertisement

স্থানীয়দের কয়েক জন জানিয়েছেন, ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন বিভাংশুর বাড়িতে সে এবং তার মা ছাড়া আর কেউ ছিল না। বাকিরা কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। দুপুর সাড়ে তিনটের সময় আচমকা এই ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা ভেবে বিস্মিত এলাকাবাসী। তাঁরা জানিয়েছেন, বাইরে এসে তাঁরা দেখেন বাড়িটির লাগোয়া রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন অণিমা। পড়ে রয়েছে বিভাংশু। তার পাশেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তার মা-ও। পিঠে কোপানোর গভীর ক্ষত। সেই সময় বাড়ির ভিতরেই ছিল লক্ষ্মণ। কিন্তু প্রতিবেশীরা কী করবেন বুঝে ওঠার আগেই সে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মনে করছেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে অশান্তির জেরেই এই ঘটনা। যদিও কেউ কেউ জানিয়েছেন, লক্ষ্মণের সঙ্গে কখনও অন্য দুই পরিবারের সদস্যদের ঝগড়াঝাটি হতে দেখেননি তাঁরা। বরং স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলতে দেখেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, লক্ষ্মণ পলাতক। তবে তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন