সন্ধান: জাল ফেলে খোঁজ চলছে দেহের। বুধবার মুর্শিদাবাদের বালির ঘাটে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
নিখোঁজ থাকা এক যুবকের দেহ মেলায় মুর্শিদাবাদে বিলে বাস পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৩। এখনও এক প্রৌঢ়ের খোঁজ মেলেনি। মৃতের সন্ধানে বুধবার দিনভর ভাণ্ডারদহ বিলে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
গত সোমবার সকালে বহরমপুর যাওয়ার সময়ে বালির ঘাটের সেতু থেকে ভাণ্ডারদহ বিলে পড়ে বাসটি। সে সময়ে জলে থাকা মৎস্যজীবীরা নৌকা নিয়ে গিয়ে ১৩ জনকে বাঁচান। পরে ক্রেন ও ডুবুরি এনে বাস থেকে মৃতদেহ বের করা হয়। জল থেকে তোলা হয় বাসটি।
দুর্ঘটনার পরেই দৌলতাবাদে গিয়ে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধারকাজের তদারকিও করেন সে রাতে জেলায় থেকে। কিন্তু অধীর চৌধুরীর মতো বিরোধী নেতারা রাজ্য সরকারের দেওয়া ওই বাসের হাল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন উঠেছে উদ্ধারকাজে দেরি নিয়েও। এ দিন কলকাতায় দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চালকের ভুলেই এটা হয়েছে। কিন্তু এমন করে বলছে, যেন আমি গিয়ে করে দিয়ে এসেছি!’’
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ঋষিকেশ শর্মা (২২) নামে জলঙ্গির হোগলার দাঁড়ের এক জনের খোঁজ মেলেনি। এ দিন সকালে তাঁর দেহ মেলে। কিন্তু হাজি আবদুল মালেক নামে এক প্রৌঢ়ের খোঁজ এখনও মেলেনি। তাঁর বাড়ি ডোমকলের মেহেদিপুরে। তাঁর পরিজনের দিনভর বিলের পাশে হা-পিত্যেশ করেছেন। সেতুর যে রেলিং ভেঙে বাস জলে পড়েছিল, সেখানটা এখনও বাঁশ দিয়ে ঘেরা আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু সারানো এবং আলো লাগানোর দাবি তুলেছেন।