মুসাকে মার্কিন জেরা দিনভর

বৃহস্পতিবার হয়েছিল ঘণ্টা তিনেক। আইএস-সংস্রবের অভিযোগে ধৃত মুসার সঙ্গে শুক্রবার পাঁচ ঘণ্টা ধরে কথা বললেন এফবিআইয়ের অফিসারেরা। শুধু কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতে আইএসের কোন জঙ্গি কোথায় সক্রিয়, মুসার পেট থেকে সেই তথ্য বার করার চেষ্টা করেছেন মার্কিন মুলুকের গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:১৫
Share:

বৃহস্পতিবার হয়েছিল ঘণ্টা তিনেক। আইএস-সংস্রবের অভিযোগে ধৃত মুসার সঙ্গে শুক্রবার পাঁচ ঘণ্টা ধরে কথা বললেন এফবিআইয়ের অফিসারেরা। শুধু কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতে আইএসের কোন জঙ্গি কোথায় সক্রিয়, মুসার পেট থেকে সেই তথ্য বার করার চেষ্টা করেছেন মার্কিন মুলুকের গোয়েন্দারা।

Advertisement

জুলাইয়ে ধরা পড়ার পরে বীরভূমের লাভপুরের ছেলে মুসা জেরার মুখে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে তাকে আইএসের ভাবাদর্শে ‘উদ্বুদ্ধ’ করেছিল বাংলাদেশের আইএস-চাঁই আবু সুলেমান, ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে আইএসের ‘ক্যাডার’ নিয়োগের দায়িত্ব যার হাতে। মোবাইল ও একাধিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সুলেমানের সঙ্গে তার কিছু কথোপকথন সম্পর্কে এফবিআই এ দিন মুসার কাছে স্পষ্ট তথ্য চেয়েছে।

এফবিআই যাতে জেরা করতে পারে, সে জন্য বৃহস্পতিবার কোর্টের অনুমতি নিয়ে মুসাকে দু’দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। জেরার পর্ব এ দিন শেষ হয়েছে। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ মার্কিন গোয়েন্দারা সল্টলেকে এনআইএ অফিসে ঢুকেছিলেন। তাঁদের প্রশ্ন দোভাষী মারফত বাংলায় তর্জমা করে মুসাকে শোনানো হয়। মুসার জবাব ইংরেজিতে অনুবাদ করে মার্কিন গোয়েন্দাদের সামনে লিখিত ভাবে পেশ করা হয়।

Advertisement

এ ভাবেই এনআইএ আধিকারিকদের সামনে চলেছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। বিকেল তিনটে মার্কিন গোয়েন্দারা এনআইএ অফিস থেকে বেরিয়ে সল্টলেকের এক পাঁচতারা হোটেলে চলে যান। সাড়ে তিনটেয় মুসাকে ফের কোর্টে তোলা হয়। তার ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের হুকুম হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন