hindu

করোনায় মৃত্যু সন্দেহে এল না আত্মীয়-পরিজন, দেগঙ্গায় হিন্দু বৃদ্ধার দেহ সৎকারে মুসলিমরা

দেগঙ্গা থানায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার রাম দাসের মা বিমলা দাস (৬৫) গত ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ১৬:১০
Share:

বৃদ্ধার মৃতদেহকে খাটিয়ায় করে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। নিজস্ব চিত্র।

করোনায় মৃত্যু হয়েছে এই সন্দেহে ১২ ঘণ্টা বাড়ির মধ্যে পড়ে রইল সিভিক ভলান্টিয়ারের মায়ের মৃতদেহ। এলেন না আত্মীয়, প্রতিবেশীরা। অবশেষে গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা এসে শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন। সম্প্রীতির এই দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সুবর্ণপুর দাসপাড়া এলাকায়।

Advertisement

দেগঙ্গা থানায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার রাম দাসের মা বিমলা দাস (৬৫) গত ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর পরে রাম, তাঁর দিদি ও বাবা মিলে আত্মীয়, প্রতিবেশীদের কাছে খবর দেন। কিন্তু ওই বৃদ্ধার করোনায় মৃত্যু হয়েছে, এই সন্দেহে আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশী, কেউ আসেননি বলেই অভিযোগ।

অবশেষে পাশের পাড়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা এগিয়ে আসেন বৃদ্ধার মৃতদেহ সৎকার করতে। বৃদ্ধার মৃতদেহকে খাটিয়ায় করে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের লোকেরা।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে রাম বলেন, ‘‘আমার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, কেউ এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাই মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পেরেছি।’’ পাশাপাশি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মিলন দেবনাথ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ যে ভাবে সম্প্রীতির নজির তৈরি গড়লেন, তা দেগঙ্গার মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন