Local News

সম্পর্কের জের? কোদাল দিয়ে খুন রানাঘাটের তরুণীকে

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ওই কিশোরীর মাথায় কোদালের বাড়ি মেরে তাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, সোমবার সন্ধ্যায় রানাঘাটের পায়রাডাঙার নতুন গোপালপুর গ্রামে কে বা কারা বছর উনিশের সুস্মিতাকে খুন করেছে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ১৫:৩২
Share:

নিহত তরুণী। —নিজস্ব চিত্র

বাড়িতে তখন ‘ছোড়দি’ ছাড়া আর কেউ ছিল না। বেশ কয়েক বার ‘ছোড়দি’কে ডাকাডাকির পরেও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয়েছিল সৌরভের। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই সন্দেহটা সত্যি হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে ‘ছোড়দি’ সুস্মিতা সরকারের দেহ।

Advertisement

সৌরভের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। পুলিশের পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় সৌরভের বাবা-মাকে। তাঁরা তখন বাড়ির বাইরে ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই কিশোরীর মাথায় কোদালের বাড়ি মেরে তাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, সোমবার সন্ধ্যায় রানাঘাটের পায়রাডাঙার নতুন গোপালপুর গ্রামে কে বা কারা বছর উনিশের সুস্মিতাকে খুন করেছে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বুবাই নামে এক যুবককে আটক করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, বছর পঁচিশের বুবাইয়ের সঙ্গে সম্প্রতি ঘনিষ্ঠতা হয় সুস্মিতার। সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনেই তরুণী খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভর্তি দুর্নীতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন জিএস গ্রেফতার

সুস্মিতার পরিবার সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে নিজে পছন্দ করে এক যুবককে বিয়ে করেছিল নাবালিকা সুস্মিতা। বছর দুয়েক ওই যুবকের সঙ্গে সংসার করার পর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বছরখানেক আগেই ফের বাপের বাড়িতে ফিরে আসে সুস্মিতা। তার পর বুবাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। একই সঙ্গে তার অন্য কয়েকটি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি।

পুলিশ জানিয়েছে, সুস্মিতারা দুই বোন, এক ভাই। ভাই সৌরভ সব থেকে ছোট। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বড় দিদির আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সৌরভের বাবা গোপাল সরকার পেশায় লটারি টিকিট বিক্রেতা। আর মা বীণা দেবী আয়ার কাজ করেন। ঘটনার সময়ে তাঁরা কেউই বাড়ি ছিলেন না।

আরও পড়ুন: ‘বহিরাগত’রা টাকা চাইলে থানায় জানাক টিএমসিপি

সোমবার সকালেই নিজেদের কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন গোপালবাবু এবং বীণা দেবী। বিকালে পাড়ার মাঠে খেলতে গিয়েছিল ভাই সৌরভ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি ফেরে সে। বাইরে থেকে ‘ছোড়দি’কে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় তার। তখনই দরজা ঠেলে ঘরে ঢোকে। বিছানার উপর সে রক্তাক্ত অবস্থায় তখন পড়ে থাকতে দেখে সুস্মিতাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন