গুজব, গণপিটুনি রুখতে টাস্ক ফোর্স

সব টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন মূলত নিচু তলার পুলিশকর্মীরা। তাঁদের উপরে নজরদারির জন্য জেলায় এক জন ডিএসপি কিংবা কমিশনারেট এলাকার এক সহকারী কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৩
Share:

গণপিটুনি এবং গুজব ছড়ানো রুখতে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দিল নবান্ন।—ফাইল চিত্র।

বারো দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগকেও। সেই সঙ্গেই গণপিটুনি এবং গুজব ছড়ানো রুখতে এ বার জেলায় জেলায় স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা বিশেষ দল তৈরি করে দিল নবান্ন।

Advertisement

ওই সব টাস্ক ফোর্সে রয়েছেন মূলত নিচু তলার পুলিশকর্মীরা। তাঁদের উপরে নজরদারির জন্য জেলায় এক জন ডিএসপি কিংবা কমিশনারেট এলাকার এক সহকারী কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলায় গুজব ছ়ড়ানো ও গণপিটুনি রোধে নোডাল অফিসারের কাজ করবেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার।

নবান্নের খবর, টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গুজব বা গণপিটুনিতে প্ররোচনা দেওয়ার ব্যাপারে সংবাদ সংগ্রহ করছেন। মাসে এক বার এসপি বা কমিশনারেটের ডিসি-রা বাহিনীর পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তথ্য বিশ্লেষণ করবেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তথ্যের ভিত্তিতে থানা কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবেন এসপি বা ডিসি-রা।

Advertisement

সাম্প্রতিক কালে ভুয়ো খবর এবং ছেলেধরা সংক্রান্ত গুজবের জেরে গণপিটুনিতে দেশে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজবের উৎস জানতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে চিঠি দেয় কেন্দ্র। রাজ্যও সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নজরদারি বাড়ায়। গণপিটুনি রুখতে রাজ্যগুলিকে ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা তৈরি করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য পুলিশের খবর, নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্ক করছেন গোয়েন্দারাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement