রাজ্যে সাতটি পুর নিগম এবং ১১৮টি পুরসভায় ক’জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন, তাঁরা কত দিন ধরে কাজ করছেন— তার হিসেব চেয়েছে অর্থ দফতর। নবান্নের খবর, হিসেব পেয়ে ওই কর্মীদের সম্পর্কে কী করা যায়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্থ দফতর থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে পুরসভার ক্যাজুয়াল কর্মীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী পুরসভা ধরে ধরে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। কোন পুরসভায় ক’জন কর্মী ক্যাজুয়াল হিসেবে কত দিন ধরে কাজ করছেন, কী পদে কাজ করছেন— সবই জানাতে হবে।
বাম আমল থেকে এ-পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই ক্যাজুয়াল কর্মী নিয়োগ করেছে। অনেকের মতে, এ ভাবে দলের লোকেদেরই কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার নিজস্বতহবিল থেকে তাঁদের বেতন দেওয়া হয়। কোনও কোনও পুরসভায় টাকা দেওয়া হয় ‘আর্বান ওয়েজ জেনারেশন ফান্ড’ থেকেও।
বিভিন্ন পুরসভা সূত্রের খবর, পুর নিগমগুলিতে তুলনায় বেশি অস্থায়ী কর্মী আছেন। জেলায় জেলায় পুরসভাগুলিতেও বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী কাজ করছেন। বিধাননগর পুরসভা থেকে কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পরে অনেক অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে। পুরসভার হিসেবে প্রায় ১৩০০। তাঁদের বেশির ভাগই জঞ্জাল, নিকাশি, উদ্যান বিভাগ এবং পুরসভার অফিসে কাজ করছেন।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র-পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যেই পুর দফতর থেকে চিঠি আসে। আমাদের তালিকা তৈরি করা আছে।’’ পুরসভার এক কর্তা জানান, সরকারি নিয়ম মেনে তাঁরা ‘ওয়েজ’ বা ‘মজুরি’ দিচ্ছেন। অদক্ষ কর্মীদের দিনে ২৮৮ টাকা এবং দক্ষ কর্মীদের ৩০০ টাকার কিছু বেশি মজুরি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও পিএফ, ইএসআই এবং স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের।
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের কোনও চিঠি পাইনি। রাজ্য সরকার আমাদের কিছুই দেয় না।’’ মালদহের ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারের দাবি, প্রায় ১৪০০ অস্থায়ী কর্মীর মজুরি পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয়। ১ জানুয়ারি থেকে ক্যাজুয়াল কর্মীদের মজুরি বাড়িয়ে মাসে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।