—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন্রাজ্যে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সরগরম রাজ্য। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে শ্রমশ্রী প্রকল্পের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে সামনে এল মুর্শিদাবাদের ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিকের ওমানে অনাহারে আটকে থাকার ঘটনা। অভিযোগ, দালালের খপ্পরে পড়ে তাঁরা অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। চার মাস বেতন বন্ধ। কেড়ে নেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট। গত ২৩ অগস্ট থেকে কার্যত খাবার না খেয়ে কাটাচ্ছেন। কখনও কারও বাড়ির বারান্দায়, কখনও গাছতলায় দিন কাটাচ্ছেন। বাড়ি ফিরতে চাইছেন। কিন্তু ফিরতে পারছেন না। সেই শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিল রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ। আটকে থাকা শ্রমিক সুনীল দাসের বাড়িতে সোমবার গেলেন রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম।
কান্দি ব্লকের জিবন্তীর জিয়াদারাতে ওই শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে বলেন, ‘‘এই পরিবার থেকে যেটা জানতে পারলাম, শ্রমিকেরা ওমানে কারও মাধ্যমে গিয়েছেন। যে ভাবে কাজ দেওয়ার কথা ছিল, সে ভাবে কাজ দেয়নি। পাসপোর্ট, ভিসাও না কি কেড়ে নিয়েছে। ওঁদের কাছে টাকাও নেই। ফলে ফিরে আসতে পারছেন না। পরিবার থেকে আমাদের পর্ষদের সঙ্গে ৪ দিন আগে যোগাযোগ করে। এটা বিদেশ মন্ত্রকের বিষয়। সেজন্যে একটা পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদেরকে অভিযোগ জানাতে হয়। শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের অফিসাররা এসে পরিবার থেকে অভিযোগ নিয়েছেন। তাও জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যসচিবকে জানানো হয়। বিষয়টি ইতিমধ্যে বিদেশ মন্ত্রককে জানানো হয়েছে।’’
সামিরুল বেরিয়ে আসার পর আশ্বস্ত বোধ করেছে পরিবার। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে কল্পনা দাস বলেন, ‘‘আমার স্বামী সুনীল দাস ওমানে গিয়েছেন। ১১ জন আটকে রয়েছেন। সে ভাবে খবর পাই না। আমরা খোঁজ করে বহরমপুরে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আজকে অফিসাররা এসেছিলেন। তাঁরা বলেছেন ফেরানো হবে।’’