সীমান্তে আটক গরু-মহিষ।—নিজস্ব চিত্র।
গত ১ জুলাই, বহরমপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের বিষয়ে পুলিশকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেন। কিন্তু, তাও পরিস্থিতি বদলায়নি সীমান্তে। মুর্শিদাবাদ আছে মুর্শিদাবাদেই। মঙ্গলবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের রানিনগর সীমান্ত এলাকা থেকে ১২৬টি গরু ও মহিষ আটক করল বিএসএফ জওয়ানরা। বিএসএফ-এর এক অধিকর্তা জানান, ওই গরু ও মহিষগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে এগুলিকে আটক করা হয়েছে। তবে কোনও পাচারকারীকে ধরা যায়নি।
বিএসএফের তরফে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও সহযোগিতাই পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের আরও অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় পাট চাষ বন্ধের জন্য বহুদিন ধরেই জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ, পাটের মতো লম্বা ফসলের আড়ালে এই গরু পাচার অনেক সহজ হয় এবং ততটাই অসম্ভব হয়ে যায় এখানে নজরদারি চালানো। কিন্তু দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তবে পুলিশের দাবি, গরু পাচারের বিষয়ে পুলিশ সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। তাই আগের থেকে তা অনেক কমেছে।
তবে জেলা পুলিশের দাবি যাই হোক না কেন, পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে ১২৬টি গরু-মহিষ কী ভাবে পাচারের উদ্দেশে সীমান্তে পৌঁছে গেল, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।