প্রতীকী ছবি।
ডোমকলের তৃণমূল নেতা আলতাফ শেখ খুনের পরে বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছিল শাসক দল। কিন্তু সেই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন শাসক দলেরই তিন নেতা-কর্মী।
বৃহস্পতিবার রাতে ডোমকল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যের স্বামী মিসবাহুল হক, গড়াইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের স্বামী নিজামুদ্দিন শেখ ও তৃণমূলকর্মী সিরাজ মণ্ডলকে। নিজামুদ্দিনের বাড়ি কুচিয়ামোড়া গ্রামে এবং বাকি দু’জনের বাড়ি সাহাদিয়াড়ে। শুক্রবার তাঁদের বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘ডোমকলে খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কী কারণে খুন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পড়শি গ্রাম সাহাদিয়াড় থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের আলতাফ হোসেন ও দলেরই গড়াইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাব্বির আহমেদ। সে দিন রাতে কুচিয়ামোড়া গ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন আলতাফ। জখম হন উপপ্রধান।
সেই ঘটনার পরে তৃণমূল সিপিএম ও কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের মুখে ডোমকলকে অশান্ত করতে সিপিএম ও কংগ্রেস এ কাজ করেছে। বিরোধীরা অবশ্য দাবি করেছিল, শাসক দলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হেনা বলেন, ‘‘এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। ওরা নিজেরা খুনোখুনি করছে, আর নাম জড়াচ্ছে বিরোধীদের।’’
সিপিএমের ডোমকল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বলছেন, ‘‘প্রথম থেকেই বলে এসেছি, এই খুনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তৃণমূল। আমাদের এক কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যত সময় যাবে তৃণমূলের মুখোশ আরও খুলে যাবে।’’
তবে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা ডোমকলের পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনের দাবি, ‘‘আমি বিশ্বাস করি না, আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত। এটা সিপিএম ও কংগ্রেসেরই কাজ। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করা হচ্ছে তা আলতাফের পরিবারই বলতে পারবে।’’
তা হলে কি আলতাফের পরিবার ভুল লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে? সৌমিক অবশ্য সে উত্তর দেননি।