মৃতদের আত্মীয়স্বজনের কান্না। তাহেরপুর থানার খিসমায়। সোমবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ।
দোলে রং খেলার পরে পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল চার বালক-বালিকা। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুর থানার খিসমা পঞ্চায়েতের ঝামালডাঙা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রাখি হালদার, শুভজিৎ হালদার, সানি প্রামাণিক এবং স্নেহা প্রামাণিকের বয়স ৯ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। সানি ও স্নেহা সম্পর্কে ভাই-বোন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন এলাকার অন্য বালক-বালিকাদের সঙ্গে রং খেলার জন্য বের হয় তারা। দিনভর রং খেলার পর বিকেলের দিকে ছ’জন এলাকার একটি পুকুরে স্নান করতে যায়। রাখি, শুভজিৎ, সানি এবং স্নেহা পুকুরে নামে। বাকি দু’জন পাড়ে দাঁড়িয়েছিল। তারাও জলে নামার জন্য তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু চারজনকে তলিয়ে যেতে দেখে তারা ছুটে গিয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের ডেকে আনে।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বিকাশ
এরপর সেই জলাশয়ে নেমে তল্লাশি শুরু হয়। কিছুক্ষণ তল্লাশির পর জল থেকে চার বালক-বালিকাকে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় পাশের ধানতলা থানার সবদলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ দিন বিকেলেই চার জনের দেহ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। ঘটনার পরেই এলাকায় যান রানাঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তাপস বলেন, “এতগুলো শিশুর মৃত্যু খুবই কষ্টের। পরিবারগুলি দুঃস্থ। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সৎকার থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থা করেছি।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা সাঁতার জানত না। পুকুরটি নিরিবিলি জায়গায় হওয়ায় কেউ ওই বালক-বালিকাদের দেখতে পাননি।