পলাশি কলেজের গোলমালে চার বামকর্মী জেলে

পলাশি কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় ডিওয়াইএফের জোনাল সম্পাদক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু শনিবার রাত পর্যন্ত টিএমসিপি বা তৃণমূলের কাউকে ধরা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫০
Share:

আদালতে ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র

পলাশি কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় ডিওয়াইএফের জোনাল সম্পাদক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু শনিবার রাত পর্যন্ত টিএমসিপি বা তৃণমূলের কাউকে ধরা হয়নি।

Advertisement

গত বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে গোলমাল বাধে পলাশি কলেজের সামনে। টিএমসিপি এবং এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে তুমুল ইট ছো়ড়াছুড়ি হয়। পলাশি থানার ওসি এবং এক ডিওয়াইএফ নেতা-সহ বেশ কয়েক জন জখম হন।

শুক্রবার রাতেই পাঁচখেলা গ্রাম থেকে ডিওয়াইএফের কালীগঞ্জ জোনাল সম্পাদক জহিরুদ্দিন আহমেদ ও কর্মী হাফিজুল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে মিরা দক্ষিণপাড়া থেকে রওশন শেখ এবং হাজরাপোতা থেকে সাবিরুদ্দিন হোসেন নামে আরও দুই কর্মীকে ধরা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের চেষ্টা (জামিনঅযোগ্য অপরাধ) ছাড়া আরও বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কৃষ্ণনগরে আদালতে তোলা হলে তাঁদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ফের হাজির করানো হবে।

Advertisement

এ দিন ধৃতদের সঙ্গে দেখা করতে আদালতে আসেন ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক গোলাম রাব্বি, সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুমিত বিশ্বাস প্রমুখ। তাঁরা জানান, আজ, রবিবার কৃষ্ণনগরে মিছিল এবং সভা করবে ডিওয়াইএফ এবং এসএফআই। শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক গোলাম রাব্বির আক্ষেপ, ‘‘আমরা অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে।’’ সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য তথা আইনজীবী আতাউর রহমানের অভিযোগ, “সেই দিনের ঘটনায় আমরা তৃণমূলের ২৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ এখনও মামলা শুরু করেনি।”

পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া অবশ্য দাবি করেন, ‘‘যারা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অয়ন দত্তের দাবি, “ওরাই আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছিল। আমাদের কেউ হামলা করেনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন