দূরত্ববিধি শিকেয়। বহরমপুরের এক ব্যাঙ্কে। নিজস্ব চিত্র
এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হলেন মুর্শিদাবাদে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে ৮০ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জনের রবিবার রাতে এবং ২৫ জনের সোমবার বিকেলে রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। সূত্রের খবর, আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৬ জন সিভিক ভলান্টিয়ার, এক জন পুলিশ কর্মী, এবং এক জন চিকিৎসক। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৯৫ জন। রবিবার রাত পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৮ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্তরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে আরটিপিসিআর (রিয়েল টাইম পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন) পরীক্ষা আগে থেকে হচ্ছে। সম্প্রতি সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। এ ছাড়া রবিবার থেকে শমসেরগঞ্জ, সুতি ১ ব্লক, ভরতপুর ১, ভগবানগোলা ১, রানিনগর ১ ও রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। রবিবার ১০০ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৭ জনের পজ়িটিভ হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্লকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিমাণ বাড়ানো হবে। প্ৰয়োজন অনুযায়ী অন্য ব্লকগুলিতেও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হবে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, আরটিপিসিআর পরীক্ষায় করোনার ফল পেতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় মাত্র এক ঘন্টায় ফল পাওয়া যায়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রবিবার রাতের পরীক্ষায় জেলায় মোট ৫৫ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। আক্রান্তরা হলেন, লালগোলা ব্লকেরই ১৭ জন। এ ছাড়াও রঘুনাথগঞ্জ ১, নওদা, জঙ্গিপুর পুরসভা সুতি ১ ও ২ ব্লক, সালার, বড়ঞা, খড়গ্রাম, কান্দি পুরসভার ১জন করে এবং বহরমপুর পুর এলাকার তিন জন রয়েছেন।
মুর্শিদাবাদ থানার ২৮ বছর বয়সী এক সিভিক ভলান্টিয়ারের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তিনি মুর্শিদাবাদ পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আক্রান্ত হয়েছেন এক চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক লালবাগের গোলাপবাগের বাসিন্দা। শল্য বিভাগের ওই চিকিৎসক লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)