প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’টি বাসের রেষারেষিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। —নিজস্ব
দু’টি বাসের বেপরোয়া রেষারেষির বলি হল শিশু ও মহিলা–সহ ন’জন। আহত অন্তত ৮৩।
সোমবার দুপুরে নদিয়ার তেহট্টের গলাকাটা মাঠের কাছে একটি বাসকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে অন্য একটি বাস। সামনের অংশ ডুবে যায়। ছাদ থেকে ছিটকে পড়েন যাত্রীরা। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম অনুষ্কা হালদার (২), বেনজিরা বিবি (২৪), রেহেমা বিবি (৩৫), রেজাউল করিম মণ্ডল (৩০), বিশাখা হালদার (৪০), নিজামউদ্দিন মণ্ডল (৬৫), রাজেশ প্রামাণিক (৩৭) ও রীতা প্রামাণিক (৩০)। রাজেশ ও রীতা দম্পতি। সকলেই তেহট্টের। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। অনুষ্কার মা টুকটুকি হালদারকে (২৮) গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি মাঝপথে মারা যান। শক্তিনগর জেলা ও তেহট্ট হাসপাতাল মিলিয়ে ৫১ জন ভর্তি রয়েছেন। সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।
সকাল পৌনে ১১টায় কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুরের একটি বাস ছেড়েছিল। ঠিক তার দু’মিনিট পরেই ছাড়ে পলাশিপাড়া যাওয়ার এই বাস। অভিযোগ, বেশি যাত্রী তোলার জন্য গোড়া থেকেই কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে তুমুল গতিতে ছুটছিল বাস দু’টি। চালককে বারবার নিষেধ করা হলেও তিনি কানে তোলেননি। নাগাড়ে হর্ন বাজিয়ে কখনও সামনের বাসটিকে তা প্রায় ছুঁয়ে ফেলছিল। কখনও রাস্তার ডান দিক দিয়ে ছুটছিল। এই করতে করতে গলাকাটা মাঠের কাছে বাসটি ছিটকে বাঁ দিকের নয়ানজুলিতে মুখ থুবড়ে পড়ে।
নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) তন্ময় সরকার জানান, বাসটিকে তোলা হলেও নয়ানজুলিতে কোনও দেহ আটকে রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাসটিকে আটক হয়েছে। তবে চালক পলাতক।