জবরদখলে এত দুর্ঘটনা, দাবি কর্তার

জবরদখলের কারণেই নিউ ফরাক্কা মোড় দুর্ঘটনাপ্রবণ, দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। শনিবার সংস্থার প্রকল্প অধিকর্তা দীনেশকুমার হংসরিয়া বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ফোর লেন করার সময়ে বেশির ভাগ মোড় থেকে দু’ধারের জবরদখল তুলে ফেলা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০০:৪৪
Share:

জবরদখলের কারণেই নিউ ফরাক্কা মোড় দুর্ঘটনাপ্রবণ, দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। শনিবার সংস্থার প্রকল্প অধিকর্তা দীনেশকুমার হংসরিয়া বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ফোর লেন করার সময়ে বেশির ভাগ মোড় থেকে দু’ধারের জবরদখল তুলে ফেলা গিয়েছে। নিউ ফরাক্কা মোড়ে তা করা যায়নি। ফলে ওখানে রাস্তা চওড়ায় অনেকটাই ছোট। তার জেরেই বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে।’’

Advertisement

এক বছরের কম সময়ে ওই মোড়ে অন্তত পাঁচটি বড় দুর্ঘটনা হয়েছে। গত বছর ১৪ জুন লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের। তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বারহারোয়া থানার গর্জনপুর গ্রাম থেকে এসেছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর মোটরবাইকে ধাক্কা মারে লরি। ঘটনাস্থলেই ফরাক্কার ঘোড়াইপাড়া গ্রামের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাস্তা পেরোকে গিয়ে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ৩৫ বছরের এক যুবকের। ১১ মার্চ রাস্তা পার হতে গিয়েই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় জোরপুকুড়িয়ার এক বাসিন্দার। আর শুক্রবার স্কুলে যেতে গিয়ে লরির চাকায় পিষে যায় দু’নম্বর ব্যারাজ কলোনির রুম্পা হালদার।

ওই মোড়ে দুর্ঘটনার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে আগেই অবরোধ ও সভা করেছেন এলাকার এক তৃণমূল নেতা। কিন্তু প্রকল্প অধিকর্তা বলছেন, জবরদখল ছাড়াও রাস্তার দু’পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস দাঁড় করিয়ে স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলা হয়েছে। রাস্তার উপরেই তৈরি করে নেওয়া হয়েছে টোটো ও অটো স্ট্যান্ড। জনবহুল মোড় হওয়া সত্ত্বেও ট্র্যাফিক পুলিশের বদলে সিভিক ভল্যান্টিয়ার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। ফরাক্কার বিডিও কেশাং ধেন্ডুপ ভুটিয়া অবশ্য জানান, নিউ ফরাক্কা মোড়ে দুর্ঘটনা কমানোর উপায় খুঁজতে শীঘ্রই সর্বদল বৈঠক ডাকার হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন