কান্দিতে বক্তব্য রাখছেন অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র
খোদ পুলিশকেই গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের উদ্যোগে কান্দির এসডিপিও-কে স্মারকলিপি দেওয়া দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে অধীরবাবু বলেন, ‘‘এক মাস সময় দিলাম। এর মধ্যে নিরপেক্ষ না হলে ৫০ হাজার কংগ্রেস কর্মীকে নিয়ে আমরা পুলিশকে গ্রেফতার করব।’’
কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের দাবি, পুলিশ তৃণমূলের কথায় চলছে। শাসকদলের পরামর্শে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে পুলিশ। এমনকী, তাঁদের জন-প্রতিনিধিদের শাসকদলে যোগ দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিচ্ছে না। মূলত সালার ও বড়ঞা এলাকায় পুলিশ শাসকদলের কথায় চলছে। পুলিশ থানাকে শাসকদলের কার্যালয়ে পরিণত করেছে।
পুলিশি নিরপেক্ষতার দাবিতে এ দিন সকালে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মহকুমার বিভিন্ন এলাকার কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা কান্দি থানার ভিড় করেন। স্মারকলিপি প্রদানের এই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন খড়গ্রামের বিধায়ক কংগ্রেস আশিস মার্জিত। তিনি বলেন, “তৃণমূলআশ্রিত সমাজ বিরোধীরা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের দেখতে পাচ্ছে না। উল্টে কংগ্রেস কর্মীদের উপর জুলুম চালাচ্ছে।’’ এরপরই অধীরবাবু মহকুমায় পুলিশের ভূমিকাকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি বলেন, “জেলায় জেলায় পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুর্শিদাবাদের ২৯টি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। তা রাস্তা সারানো হচ্ছে না। শুনছি জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী সাইকেল বিলি করবেন। সাইকেল কেনার টাকা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলছে সাইকেল রাজ্য দিচ্ছে। সাইকেল প্রতি কেন্দ্র তিন হাজার টাকা দেয়। কিন্তু রাজ্য সরকার ২২শো টাকা দামের সাইকেল দেয়।’’
এ দিনের সভায় তৃণমূলের পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারকেও এক হাত নেন অধীর। তিনি বলেন, “সুষমা স্বরাজ থেকে বসুন্ধরা রাজে, সকলেই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। প্রমাণ হয়ে যাবে কেন্দ্র সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পাঠায়।’’