পুরনো সঙ্গীর ভরসাতেই অধীর

তাঁর সঙ্গী একদা দলত্যাগী হুমায়ুন কবীর। উপনির্বাচনে হেরে যিনি ফিরেছেন পুরনো দলে, তাঁর ‘দাদা’র হাত শক্ত করতে। গত কয়েক দিনের সভায় তাই হুমায়ুনকে আঁকড়েই অধীরের প্রচার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩০
Share:

ভরসার-হাত: অধীর চৌধুরী ও হুমায়ুন কবীর। নিজস্ব চিত্র

তাঁর নিজের গড়ে কংগ্রেস অটুটই আছে। মুর্শিদাবাদ জুড়ে জেলা কংগ্রেস নেতাদে-কর্মীদের শাসক দলে যোগ দেওয়ার ঢল নিছক কাগুজে প্রচার বলেই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সবাপতি অধীর চৌধুরী। গত কয়েক দিন ধরে জেলার আনাচ কানাচ ঘুরে তাঁর জনসভায় দলীয় কর্মীদের হারানো মনোবল ফিরিয়ে আনতে এখন এটাই অস্ত্র অধীরের।

Advertisement

তাঁর সঙ্গী একদা দলত্যাগী হুমায়ুন কবীর। উপনির্বাচনে হেরে যিনি ফিরেছেন পুরনো দলে, তাঁর ‘দাদা’র হাত শক্ত করতে।

গত কয়েক দিনের সভায় তাই হুমায়ুনকে আঁকড়েই অধীরের প্রচার। সোমবার, বিকেলে ভরতপুরের জনসভায় সেই পুরনো অস্ত্রই নতুন করে ধার দিয়ে শুরু করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি — দলের কিছু নেতা সকালে-বিকেলে দুই তৃণমূল নেতার হাত থেকে পতাকা নিয়ে এমন প্রচার করছে যেন এক নয়, দু’জন নেতা দল ছাড়লেন!

Advertisement

অধীর এই দিন বলেন, “তৃণমূলে যারা যাচ্ছে, তারা নিজেদের বাড়ি, গাড়ি করে, নিজের অবস্থা ফেরাতে ব্যস্ত। তারা বিড়ি ছেড়ে এখন সিগারেট খাচ্ছে। আর কথায় কথায় পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেখানেই প্রমাণ হবে, জেলায় কংগ্রেস আছে কি নেই! রবিবার, শক্তিপুরে হুমায়ুন কবীরকে পাশে নিয়ে অধীর বলেছিলেন, ‘‘অনেকে দল ছেড়েছে, তাঁরা উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে জন সমর্থন যাচাই করার সাহস পায়নি। হুমায়ুন কিন্তু মানুষের মুখোমুখি হয়েছিলেন।’’

হুমায়ুনও দাদার মুখ রাখতে বলেন, ‘‘আমি সব সমস্যা খোলাখুলি ভাবে বলে মিটিয়ে নিয়েছি। পরে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে ডেকে দাদাও আমাকে দলে ফিরিয়ে নিয়েছেন।’’ দলের নেতারা আড়ালে বলছেন, দাদা-ভাইয়ের জুটিতে ফের কংগ্রেসের হারানো সু-দিন ফেরাতে চাইছেন প্রদেশ সভাপতি। এ দিনের সভায় অধীরের সুর সেই গতেই বাঁধা ছিল। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভূমিপুত্র হিসেবে মুর্শিদাবাদে তিনি বয়ে আনতে পারেন কংগ্রেসকে। সে কাজে মানুষ নিশ্চয় রয়েছে তাঁর পাশে থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন