গতি কমান, ফোনও নয়

সোমবার দুপুরে বহরমপুরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাসে এক শিবিরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বললেন, “দেখা গিয়েছে, সরকারি বাসের গতি বেশি থাকে। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৪১
Share:

এনবিএসটিসির বহু বাসেই টেল-লাইট জ্বলে না । নিজস্ব চিত্র

একটা করে দুর্ঘটনা হয় আর নড়ে বসেন প্রশাসনের কর্তারা। কিছু নির্দেশ জারি করা হয়। হইচই তার পর ফের শিথিল হতে থাকে সব, যতক্ষণ না পরের দুর্ঘটনাটা ঘটে।

Advertisement

এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বরং বালির ঘাটের সেতু থেকে ভাণ্ডারদহ বিলে বাস পড়া এতই বড় মাপের দুর্ঘটনা যে সহজে থিতিয়েও যাচ্ছে না সব কিছু। বাসের চালক সে দিন মোবাইলে আসা একটি ফোন ধরতে গিয়ে গতির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। ফোন কানে বাস বা গাড়ি চালালে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে বলে রাজ্য জুড়ে নির্দেশ জারি হয়েছে, নজরদারি চলছে। গতি নিয়ন্ত্রণ ও অন্য নানা সতর্কতার কথা মনে করিয়ে দিতে জায়গায় জায়গায় শিবির করছে প্রশাসন।

সোমবার দুপুরে বহরমপুরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাসে এক শিবিরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বললেন, “দেখা গিয়েছে, সরকারি বাসের গতি বেশি থাকে। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।” এ দিন থেকেই বহরমপুর ডিভিশনে সরকারি ও বেসরকারি বাসের চালক ও মালিকদের নিয়ে শিবির শুরু হল। চলবে আজ, মঙ্গলবারও। বুধবার উল্টোডাঙা ডিপো এবং বৃহস্পতিবার সিউড়ি ডিপোয় শিবির হবে।

Advertisement

বহরমপুরের শিবিরে পুলিশ সুপার বলেন, “জেলার সমস্ত সেতুর রেলিং মজবুত করা হবে। গতি কমাতেও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে।” চালকদের উদ্দেশ্যে তাঁর আর্জি, বাস চালানোর সময়‌ে মোবাইল ব্যবহার করবেন না। বেষি গতিতে বাস চালালে বা বাস চালানোর সময়ে মোবাইল ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন। যাত্রীরা মোবাইল কানে চালকের ছবি তুলে পাঠালেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি এ দিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

শিবিরে ছিলেন জেলাশাসক পি উল্গানাথন, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিভিশনাল ম্যানেজার উত্তম গণ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সুহৃতা পালও। পুলিশ সুপার দাবি করেন, ২০১৬-র তুলনায় ২০১৭ সালে জেলায় দুর্ঘটনা সামগ্রিক ভাবে কম হয়েছে। কিন্তু বাস দুর্ঘটনা বেড়েছে। ২০১৬-য় যেখানে ৬৩টি বাস দুর্ঘটনা হয়েছিল, পরের বছর হয়েছে ৭০টি। উত্তম গণ বলেন, “বেশি গতিতে বাস চালানোর অভিযোগ পেলে আমরা মাঝে-মধ্যে সাসপেন্ড করি। গত এক মাসে তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’

প্রশ্ন উঠেছে বহু বাসের ব্যাকলাইট না থাকা নিয়েও। কেননা, পিছন থেকে ধাক্কা মারার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ব্যাকলাইট থাকলে এ ধরনের ঘটনা সাধারণত এড়ানো যায়। উত্তম গণের আশ্বাস, ‘‘যে সব বাসের ব্যাকলাইট নেই, সেগুলি দ্রুত লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন