ফরাক্কায় জাল মশলা উদ্ধার

ওই ভেজাল মশালের পরিমাণ ১৮ কুইন্ট্যাল। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মিল মালিক মৃত্যু়ঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির বাড়ি ফরাক্কার শিবনগরে।

Advertisement

  নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৬
Share:

প্র্তীকী ছবি

তেলের পরে মশলা! ভেজাল তেলের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালানোর পরে শুক্রবার ফরাক্কার ভবানীপুরে অভিযান চালিয়ে ভেজাল মশলা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই ভেজাল মশালের পরিমাণ ১৮ কুইন্ট্যাল। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মিল মালিক মৃত্যু়ঞ্জয় দাসকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির বাড়ি ফরাক্কার শিবনগরে। প্রায় দু’দশক ধরে ওই মশলা পেষাই মিল চালাচ্ছিলেন তিনি। সেখানে জিরে, লঙ্কা, হলুদ, ধনে, এমনকি গম ও ধান পেষাই হত। এ দিন সন্ধ্যায় মিলে হানা দিয়ে পুলিশ ভেজাল বেশ কয়েক রকম মশলা বাজেয়াপ্ত করে। উদ্ধার করেছে ধানের তুষ, চালের খুদ, রাসায়নিক।

Advertisement

ওই ভেজাল মশলা তৈরি চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ধৃত মিল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাম জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে পুলিশ এই মিলের কাজ-কারবারের উপরে নজর রাখছিল। ভবানীপুর গ্রামের ঘনবসতির মধ্যে বিশাল এলাকা জুড়ে টিনের ছাউনির ঘরে চলত ওই মিল। এ দিন বিকেলের পরে মিলের তালা খুলতেই আচমকা সেখানে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে ভেজাল মশলা বোঝাই বস্তা ডাঁই করে দেখতে পেয়ে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসে। মেলে চালের খুদ, ধানের তুষ, বাসন্তি রং। মিল মালিক মৃত্যুঞ্জয় দাস তখন অবশ্য মিলের মধ্যে ছিলেন না। পরে শিবনগরের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে ওই মিলই নয়, হলুদ-সহ বিভিন্ন মশলা ভেজালের কারবারে জড়িয়ে রয়েছে ধুলিয়ান, সুতি এলাকার বেশ কয়েক জন মিল মালিক। ওই এলাকা থেকে পেষাই করা ভেজাল মশলা মূলত জেলার বিভিন্ন গ্রামের দোকানে বিক্রি করা ছাড়াও চলে যেত পড়শি ঝাড়খণ্ড ও মালদহে। পুলিশের সন্দেহ ভেজাল মশলার কারবারে জড়িয়ে রয়েছে আরও কিছু পেষাই মিল। তাদের উপরও নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। ফরাক্কার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ জানান, ভেজাল নিরোধক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃত মিল মালিকের বিরুদ্ধে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন