আইসিএসই শুরু হয়েছে। চার দিনের মাথায় শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। এর মধ্যে মাইক আর সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পলাশি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠল টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে।
শনিবার অনুষ্ঠান চলার সময়েই এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয় কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক ইউনিস রিশিন ইসমাইলকে। মহকুমাশাসক বলেন, “অভিযোগ শুনে ওই কলেজে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ গিয়ে মাইক বন্ধ করেছে।” যদিও স্থানীয়দের দাবি, মাইক বাজানো বন্ধ করা হলেও শেষ পর্যন্ত সাউন্ডবক্স বেজেছে।
পলাশি কলেজে এ বারই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। তাতে জিতে সংসদ দখল করেছে টিএমসিপি। ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত ছিল পরিস্থিতি। জানুয়ারিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোয়নয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন টিএমসিপি এবং এসএফআই সমর্থকদের মারপিট হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হন। গণ্ডগোলের মধ্যেই টিএমসিপি একতরফা মনোনয়ন জমা করে দেয়। এসএফআই কাছে ঘেঁষতেই পারেনি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কলেজের ছাত্র সংসদের দখল নেয় টিএমসিপি।
ভোট মিটে যাওয়ার পরেও যে সব ঠিকঠাক চলছে না, তা এ দিন ফের সামনে চলে এল। পলাশি কলেজ মাঠে মঞ্চ বেঁধে মাইক ও সাউন্ডবক্স লাগানো হয়েছিল। বেলা ১২টা থেকে তারস্বরে সে সব বাজানো শুরু হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে মাইক বন্ধ করে। এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি বাবুসোনা সরকার বলেন, “পরীক্ষার জন্য এখন মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া বন্ধ আছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ ওই কলেজে সাউন্ডবক্স ও মাইক বাজিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান করেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর পর মাইক বন্ধ হলেও সাউন্ডবক্স বাজানো বন্ধ হয়নি।”
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান শেখ এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে কালীগঞ্জ ব্লক টিএমসিপি সভাপতি কাজল শেখের দাবি, “ছাত্রেরা ভূল করে মাইক আর সাউন্ডবক্সের ব্যবস্থা করেছিল।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অয়ন দত্তেরও বক্তব্য, “পরীক্ষার সময়ে মাইক বাজানো ঠিক নয়। বিষয়টি জানতে পারার পরে আমরাই মাইক বাজানো বন্ধ করিয়েছি।”
ছাত্রেরা যদি ‘ভুল’ই করে থাকেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তা শুধরে দিলেন না কেন? কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার বৈদ্যের যুক্তি, ‘‘আমাদের কলেজ লোকালয় থেকে অনেকটাই দূরে। মার্চের মধ্যে নবীনবরণ সেরেও ফেলতে হত।’’ অনুমতি ছাড়াই কী করে মাইক বাজানো হল তার সদুত্তর অবশ্য তিনি দিতে পারেননি।