দল-বদল। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা আমিনুল ইসলাম। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে রবিবার মঞ্চ থেকেই আমিনুল ঘোষণা করে দিলেন, ‘‘যেদিন কংগ্রেসের কেউ ছিল না, দলের পতাকাটা সাগরদিঘিতে আমিই বয়ে বেরিয়েছিলাম। আজ একটাই লক্ষ, সাগরদিঘিতে কংগ্রেসকে সাইনবোর্ডে পরিণত করা।’’
শুধু আমিনুলই নয়, নির্দল হিসেবে গত বিধানসভা ভোটে লড়া বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা সামসুল হোদার সঙ্গে থাকা পরিচিত এক ঝাঁক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাও এ দিন তৃণমূলে ফিরলেন শুভেন্দুর হাত ধরে। তাঁদেরই অন্যতম সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় এ দিন সামসুলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ছেড়ে এসেছিলাম একদিন। ফের সেই কংগ্রেসেই ফিরে গিয়েছেন হোদা। এটা বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা তৃণমূলকে ঘরবাড়ি মনে করি। তাই সেখানেই ফিরলাম।”
এ দিন শুভেন্দুর সভায় দলের জেলা সভাপতি, বিধায়ক সুব্রত সাহা ছাড়াও হাজির ছিলেন দলের সর্বস্তরের জেলা নেতারাই। তবে ছিলেন না মান্নান হোসেনের দুই পুত্রের কেউই। সভায় এদিন ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মত।
গত ২১ জানুয়ারি অধীর চৌধুরীর সভার জবাব দিতেই যে রবিবারের তৃণমূলের সভার আয়োজন, এ কথা জানিয়ে শুভেন্দু এ দিন সরাসরি অভিযোগ করেন, “বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। এই অশুভ জোটকে উৎখাত করতে প্রতিটি বুথে শনি ও রবিবার বৈঠক করতে হবে তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপিকে হটালেই হবে না, তাদের দোসর অধীর চৌধুরীর কংগ্রেসকেও তাড়াতে হবে।”
শুভেন্দু বলেন, “২০১৩ তে পঞ্চায়েতে পারিনি, ২০১৪ সালের লোকসভায় পারিনি, ২০১৬ সালের বিধানসভাতেও চারটির বেশি আসন পাইনি। কিন্তু এখন এ জেলায় তৃণমূল জেলা পরিষদ, ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতি, ২৫০টির মধ্যে ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে। এ বারে মানুষের ভোটে জিতে এ জেলার দখল নিতে হবে আমাদের।”
বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাতের অভিযোগ উড়িয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের অবশ্য বলেন, “সারা দেশে আমাদের মূল লড়াই তো বিজেপির সঙ্গেই। কাজেই আসর গরম করতেই শুভেন্দু মিথ্যে কুৎসা করেছেন।” আর বিজেপির জেলা সভাপতি সুজিত দাস বলেন, “মিথ্যা অভিযোগের কী জবাব দেব? বিজেপি পঞ্চায়েতের জেলায় প্রতিটি আসনে লড়াই করে তার
জবাব দেবে।”
শুভেন্দু জানান, এখনই কংগ্রেস থেকে আসা আমিনুলকে কোনও পদ দেওয়া হচ্ছে না। তবে তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে দল।