Amphan

আমপান ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত কর্মাধ্যক্ষের পুত্রবধূর

আমপানে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রশাসন জানিয়েছিল, তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। শুধু কাশিপুর লাগোয়া এলাকায় কিছু গাছ পড়ার খবর মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শক্তিপুর শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০১:৪০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

আমপান ঘুর্ণিঝড়ে বেলডাঙা ২ ব্লকে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু ক্ষতি না হলেও ক্ষতিপুরণ মিলেছে। সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে শুক্রবার বিডিও-র কাছে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তার পরেই বিরোধী দলেরা সরাসরি নীতিহীনতার আঙ্গুল তুলেছে তৃণমূলের দিকে। ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে যাতে কোনও দুর্নীতি না হয়, সে জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে রাজ্য স্তর থেকেই বলা হয়েছিল। তার পরেও এই ঘটনার পরে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়গুলোতে কড়া পদক্ষেপ করছি। তাই ভয়ে কেউ কেউ টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েক জন প্রধানও আছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের আত্মীয় পরিজন যে থাকুন, সকলে নজরদারিতে আছেন। আমরা দলীয় ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

আমপানে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রশাসন জানিয়েছিল, তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। শুধু কাশিপুর লাগোয়া এলাকায় কিছু গাছ পড়ার খবর মিলেছে। তার পর রাজ্য জুড়ে ক্ষতিপুরণের আবেদন জমা হয়। কংগ্রেসের বেলডাঙা ২ ব্লক পশ্চিমের সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিক বলেন, “গোপনে তৃণমূলের লোকজন আবেদন করে ক্ষতিপূরণের টাকা তোলে। সম্প্রতি এই ক্ষতিপুরণ যারা পেয়েছেন তাদের ১৭ জনের একটা তালিকা বাইরে বেরিয়ে আসে।’’ অভিযোগ সেই তালিকায় ৬৭৯ সিরিয়াল নম্বরে অনেকের সঙ্গে বেলডাঙা ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মিনাজুদ্দিন আহমেদ পুত্রবধূর নাম পাওয়া যায়। তারপরেই বিরোধী কংগ্রেস সহ বিরোধী বাম এই বিষয়ে সোচ্চার হয়। তালিকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে। শুক্রবার দুপুরে মিনাজউদ্দিনের পুত্রবধূ মইমুনা খাতুন মুচলেকা সহ ক্ষতিপুরণের ২০ হাজার টাকা ব্লক প্রশাসনের কাছে ফেরত দেন।

বিডিও সমীররঞ্জন মান্না বলেন, “এটা একটা ভুল বলেই মনে হচ্ছে। তবে খোঁজ করার সময় একটা ভাঙা ঘর দেখানো হয়। যেটা ওই কর্মাধ্যক্ষের ছেলের বলে তখন দাবি করা হয়েছিল। যে কমিটি ওটা দেখেছে তাদের ভুল কোথায় সেটা দেখা হচ্ছে।” যারা ওই তালিকা করেছিলেন, তাঁদের কি শাস্তি হবে? বিডিও বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তা দেখবে।” মিনাজউদ্দিন বলেন, “আমার পুত্রবধূ সালারে থাকে। নাম ভুল করে কী ভাবে এল জানি না।”

Advertisement

তৃমমূলের বেলডাঙা ২ ব্লক পশ্চিম সভাপতি সত্যনারায়ণ রায় বলেন, “ওই কর্মাধ্যক্ষ নিজের পদাধিকার ব্যবহার করেছেন। এর সঙ্গে দল নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন