ধৃত আসরাফুল। নিজস্ব চিত্র
চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে তার জুড়ি নেই। কৃষ্ণনগর সংশোধনাগার থেকে পালানো বন্দি আসরাফুল মোল্লা এর আগে এক বার উত্তরপ্রদেশের একটি থানা থেকেও পালিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে তার বিরুদ্ধে ৭৮টি চুরি, ডাকাতি-সহ নানা অপরাধের মামলা আছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, ওই সব রাজ্যে ছড়িয়ে আছে তার নিজস্ব নেটওয়ার্ক।
৬ নভেম্বর গভীর রাতে কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে ছিল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার চৌহাটা এলাকার বাসিন্দা আসরাফুল। শনিবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর এলাকায় আবারও চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় সে। কাশীপুর থানা থেকে শনিবার রাতেই তাকে কৃষ্ণনগরে নিয়ে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। রবিবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, দেওয়াল ভেঙে চুরি করতেই সে ওস্তাদ। দেওয়ালের বিভিন্ন অংশে টোকা মেরে তার অভিজ্ঞ কান বুঝে নিতে পারে, ঠিক কোন অংশটা দুর্বল। সেই মতো নিপুণ হাতে আঘাত করে সে খসিয়ে দিতে পারে বেশ কয়েকটা ইট। তার পরে কেল্লাফতে। নানা রকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলেও মূলত চুরিতেই তার আগ্রহ ছিল বেশি।
কিন্তু কী ভাবে সে দিন সংশোধনাগার থেকে পালিয়েছিল আসরাফুল? পুলিশের জেরায় সে জানিয়েছে, ওয়ার্ডের শৌচাগারের ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেরিয়েছিল সে। এর পরে আগে থেকে বেছে রাখা আঁকশির মতো বাঁকানো লোহার রড ও গামছার সাহায্যে সে বাইরে বেরিয়ে যায়। তার পরে সেখান থেকে চলে যায় হাড়োয়া এলাকায় তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে। নিজস্ব নেটওয়ার্ক থেকে সে খবর পায় যে, কাশীপুরের ওই গুদামে মোটা টাকা রাখা আছে। সোমবার সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হবে তাকে। সেখানে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।