Burnt to death

অগ্নিদগ্ধ তরুণীর হাসপাতালে মৃত্যু, আঙুল শ্বশুরবাড়ির দিকে

শ্যামসুন্দর বিশ্বাসের অভিযোগ, মৃতার স্বামী সোমনাথ সেনগুপ্ত, শাশুড়ি মিতা সেনগুপ্ত, ননদ রিমা চট্টোপাধ্যায় ও তার স্বামী অরূপ চট্টোপাধ্যায় এবং আর এক ননদ রীতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

অস্বাভাবিক ভাবে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠল। যদিও এই ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। গুরুতর ভাবে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রবিবার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় নবদ্বীপের বাসিন্দা কিনু বিশ্বাস (৩২) নামে ওই মহিলার। রবিবার বেশি রাতে নবদ্বীপ থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার দাদা শ্যামসুন্দর বিশ্বাস। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বোন শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে চরম মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার। সেই কারণেই ওই মহিলা গায়ে আগুন দিতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং তারই জেরে মৃত্যু হয়েছে তরুণী কিনু বিশ্বাসের।

Advertisement

শ্যামসুন্দর বিশ্বাসের অভিযোগ, মৃতার স্বামী সোমনাথ সেনগুপ্ত, শাশুড়ি মিতা সেনগুপ্ত, ননদ রিমা চট্টোপাধ্যায় ও তার স্বামী অরূপ চট্টোপাধ্যায় এবং আর এক ননদ রীতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে সোমনাথের সঙ্গে বিয়ে হয় কিনুর। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই শুরু কারণে-অকারণে তাঁর বোনের উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার, এমনটাই অভিযোগ মহিলার পরিবারের। মৃতার দাদার আরও দাবি, এ জন্য মাঝে মাঝেই বাপের বাড়ি এসে কিনু জানাতেন, তাঁর পক্ষে আর শ্বশুরবাড়িতে থাকা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠছে। জানা গিয়েছে, গত ৩১ অগস্ট সকালে ফের কিনুর শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। কিনুর উপরে চলে মারধর। মৃতার দাদা বলেন, “ক’দিন ধরেই অত্যাচার চলছিল। আমার বোন সে দিন আর সহ্য করতে না পেরে রান্নাঘরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওকে মারাত্মক জখম অবস্থায় নবদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কিছু ক্ষণের মধ্যে প্রথমে শক্তিনগর এবং পড়ে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তর করানো হয়। সেখানেই রবিবার মারা যায় বোন। আমরা দোষীদের কঠোরতম শাস্তি চাই।” পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন