তেহট্টে বক্তৃতা করছেন অনুব্রত। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
পাঁচনের বাড়িতেই যে তিনি নদিয়ায় বিরোধীদের শাসন করতে চান তা সর্বসমক্ষে আরও এক বার জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি নদিয়ায় দলকে আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
লোকসভা ভোটের আগে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গা চষে বেড়াচ্ছেন অনুব্রত। দিন পনেরো আগে বেতাইয়ের কর্মীসভায় তিনি বিরোধীদের জন্য পাচনের দাওয়াইয়ের কথা বলেছিলেন। তার পর ফের শনিবার তেহট্টের হাইস্কুল মাঠে জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে অনুব্রত বলেন, “উর্বর জমি চাষ করতে পাঁচনের ব্যবহার বহু আগে থেকেই দেখে আসছি। জমি চাষে দু’দিকে দু’টি গরু আর মধ্যে লাঙলের সঙ্গে পাঁচন দেওয়া প্রয়োজন।’’ পাঁচনের শাসনে তিনি বিন্দুমাত্র দেরি করতে চান না তা জানিয়ে অনুব্রতর উক্তি, ‘‘এখানেও কাল থেকেই পাঁচনের ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে।’’
এ দিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাজের সমালোচনা করে অনুব্রত জানান, ‘‘তড়িঘড়ি মোদীবাবু যে বাজেট পেশ করল তা এক্কেবারে ফালতু। সাধারণ মানুষের কোনও সুবিধা নেই। কৃষকের সম্পর্কে বড় বড় কথা বলছেন। ২০১৪ সালে কৃষকদের কথা মনে পড়েনি, ২০১৫ তে মনে পড়েনি আর ভোটের আগে ২০১৯ সালে এসে মনে পড়ল? মানুষ কি বোকা?’’ বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি নদিয়ায় জিততে পারবে না। জেলার দু’টি আসনেই তৃণমূল লক্ষাধিক ভোটে জিতবে।’’ এ দিন তিনি দাবি করেন, বিজেপি মানুষকে কোনও পরিষেবা দেননি বলেই নদিয়ার মানুষ মোদীকে ঘেন্নার চোখে দেখেন। রাজ্যে এসে মোদীর জনসভা করার প্রসঙ্গে অনুব্রত এ দিন মন্তব্য করেন, ‘‘পশ্চিমবাংলার মানুষ বোকা নয়, মোদীর ভাঁওতাবাজিতে বাংলার মানুষ ভুলবে না।’’ এ দিন উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগরের সভায় গোলমালের জেরে মোদী চোদ্দো মিনিট বক্তৃতা দিয়ে মাঝপথে নেমে যান। এ ব্যাপারে অনুব্রতর উক্তি, “১৪ মিনিট মানে উনি অনেক বেশি থেকেছেন। দুই মিনিটও থাকার কথা নয়।”