বেলডাঙায় শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
দিনকয়েক আগে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী, আসর আলি শেখ। বেলডাঙার মহ্যমপুরের ওই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করলেও রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। ঘটনার পরে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল কংগ্রেসের দিকে। কংগ্রেস সে অভিযোগ অস্বীকার করে।
তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে মহ্যমপুর বকুলতলায় দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদ সভায় রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের পযবেক্ষর্ক শুভেন্দু অধিকারী প্রথম থেকেই কংগ্রেসকে বিঁধলেন। এ দিন মিনিট পাঁচেকের বক্তব্যে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে খুনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। খুন করে অধীর সাম্রাজ্য দখল করে রাখা যাবে না। খুনের রাজনীতি করে জেলার কাউন্সিলর, জেলা পরিষদ তো দূরের কথা, নিজের বাড়িটাও ধরে রাখতে পারবেন না তিনি।’’
মঞ্চে বসে থাকা সদ্য দলত্যাগী, অধীর চৌধুরীর শ্যালক অরিত মজুমদারকে দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই অরিতবাবুই তার বড় উদাহরণ। আমরা গত বিধানসভায় জেলায় ভাল ফল করেছি। দু’তিন মাসের মধ্যে জেলাপরিষদ ও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কংগ্রেস, সিপিএমের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি এটা দায়িত্ব নিয়েই বলছি।’’
পরিবহণমন্ত্রী জানান, আসর আলি খুনের কিনারা পুলিশ না করতে পারলে সিআইডির কথা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘দলীয় নেতৃত্ব আমার হাতে এলাকার বেশ কিছু ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীর পরিবারের তালিকা দিয়েছেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে মধ্যে পুলিশ শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের ঘরে না ফেরাতে পারলে আমি এলাকায় এসে তাদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে যাব। দেখি কে কী করে। আমরা জেলা পুলিশকেও বলব কী ভাবে এলাকায় বোমা, গুলি, বন্দুক ঢুকছে তা খতিয়ে দেখতে।’’