ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনে সাবালক হচ্ছে আসাননগর

এ বার আসাননগর কলেজেও বসল ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা ছাত্রীদের সুবিধার জন্যই এই উদ্যোগ, দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। শুধু তা-ই নয়, ব্যবহৃত ন্যাপকিন পুড়িয়ে নষ্ট করার জন্যও একটি বিশেষ মেশিন বসানো হয়েছে কলেজে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১৯
Share:

এ বার আসাননগর কলেজেও বসল ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা ছাত্রীদের সুবিধার জন্যই এই উদ্যোগ, দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। শুধু তা-ই নয়, ব্যবহৃত ন্যাপকিন পুড়িয়ে নষ্ট করার জন্যও একটি বিশেষ মেশিন বসানো হয়েছে কলেজে।

Advertisement

বিষয়টি ছাত্রীদের মধ্যেও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে বলে দাবি কলেজের। তাঁদের নানা অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই কলেজের দুই শিক্ষিকা ও এক মহিলা অশিক্ষক কর্মচারিকে নিয়ে একটি উইমেন’স সেল তৈরি করা হয়েছে কলেজে। বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁরা ছাত্রীদের ওই মেশিন ব্যবহারের জন্য সচেতন ও উৎসাহিত করছেন। আর তার ফলও মিলছে হাতেনাতে।

আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজটি বয়সের দিক দিয়ে একেবারেই নবীন। ২০০৭ সালে তৈরি হয়েছে। দু’দিন আগেই ২২ নভেম্বর কলেজের ছাত্রীদের কমন রুমের ভিতরে ন্যপকিন ভেন্ডিং মেশিনটি বসানো হয়েছে। কল্যাণীর পরে আসাননগর কলেজের এই উদ্যোগ। দশ টাকার একটা কয়েন বা পাঁচ টাকার দু’টি কয়েন দিলেই বেরিয়ে আসে এক প্যকেট ন্যাপকিন। তাতে তিনটি করে থাকে। কলেজের অধ্যক্ষ অশোক কুমার দাস বলেন, “এই মুহুর্তে আমাদের কলেজের ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ছ’শো। বেশির ভাগ মেয়েই আসে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে। তাদের অনেকেই এখনও দোকান থেকে ন্যাপকিন কিনতে সঙ্কোচ বোধ করে। ফলে তারা অস্বাস্থ্যকর উপায় অবলম্বন করে থাকে। তাদের কথা ভেবেই আমাদের এই উদ্যোগ। এটাকে স্বচ্ছ ভারত মিশনের একটা অঙ্গ বলতে পারেন।”

Advertisement

ছাত্রীরাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তাই দিন দিন বাড়ছে ভেন্ডিং মেশিন থেকে ছাত্রীদের ন্যাপকিন সংগ্রহের সংখ্যা। কলেজের উইমেন’স সেলের আহ্বায়ক অমৃতা শিহি বলেন, “এখন মাসে ১২০ থেকে ১৪০টা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।”

যদিও বিষয়টা প্রথম দিকে সহজ ছিল না। ছাত্রীদের মধ্যে একটা জড়তা কাজ করছিল। অমৃতাদেবী বলেন, “আমরা মেয়েদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলি। পাশাপাশি আমাদের এই সেলে থাকা ছাত্রীরাও সাহায্য করেছে। ফলটা হাতেনাতেই পাচ্ছি।”

কলেজের অধ্যক্ষ অশোকবাবু বলেন, “এটা করার জন্য সমস্ত কলেজকেই নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। নদিয়া জেলায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালের পরে আমরা আর কল্যাণী মহাবিদ্যালয় এটা করতে পরেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন