দুঃস্থ মানুষজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে (বাংলা আবাস যোজনা) বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরি কাজ শেষ করার নিরিখে সারা দেশে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আর এই প্রকল্পের সার্বিক কাজের নিরিখে রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ দেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিজ্ঞান ভবনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ভালো কাজের জন্য জাতীয় পুরষ্কার দেওয়া হবে জেলা কর্তৃপক্ষকে। বুধবার, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে।
জেলাশাসক পি উলানাগাথন বলেন, “জেলা হিসেবে মুর্শিদাবাদ দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সে কথা আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ভাল কাজের জন্য পুরষ্কার দেবে। দেশের সেরা রাজ্য, সেরা জেলা ও সেরা ব্লক এই তিনটি ধাপে পুরষ্কার দেবে। সার্বিক কাজ, বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা, গ্রামীন রাজমিস্ত্রি প্রশিক্ষণ, অন্য প্রকল্পের সাথে যুক্ত করে কাজ করা এবং আধার নম্বর যুক্ত করা— এই পাঁচটি বিভাগে রাজ্য, জেলা ও ব্লককে পুরষ্কার দেওয়া হবে।’’
উত্তর-পূর্ব ভারত, পার্বত্য অঞ্চলের রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত রাজ্যগুলিকে নিয়ে একটি বিভাগ করা হয়েছে। অন্য বিভাগে বাকি বড় রাজ্যগুলি রয়েছে। বড় রাজ্যগুলির তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সার্বিক কাজের নিরিখে ছত্তীশগঢ প্রথম হয়েছে, দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ, তৃতীয় হয়েছে উত্তরপ্রদেশ। আবার বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে জেলা হিসেবে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদ, দ্বিতীয় এ রাজ্যেরই দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং তৃতীয় হয়েছে রাজস্থানের বাঁশওয়ারা।
২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে মুর্শিদাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ হাজার ২৪১ টি বাড়ি। তার মধ্যে ৪৩ হাজার ৪৩৩টি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে দেশের প্রথম স্থান অধিকার করেছে মুর্শিদাবাদ। শতাংশের হিসেবে ৯৮.১৮ শতাংশ বাড়ি তৈরি করার কাজ শেষ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, গত বছরের মত চলতি আর্থিক বছরেও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই প্রকল্পে ভালো কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, চলতি বছরে মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম দফায় টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বাড়ি তৈরির প্রথম দফায় বরাদ্দের ৯৯.৭ শতাংশ টাকায় প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও যাতে দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়, সে জন্য গত মাসেই মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে বাংলা আবাস যোজনা দিবস পালন করা হয়েছে।