পানায় আটকে থামল ভেসেল

কচুরিপানায় জড়িয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রপেলার। ভেসেল এক বার ডান দিকে হেলে যাচ্ছে তো আর এক বার কাত হয়ে পড়ছে বাঁ দিকে। ভেসেল জুড়ে পড়েছে কান্নার রোল। 

Advertisement

সম্রাট চন্দ

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০২:০৯
Share:

রাতে আটক যাত্রী। নিজস্ব চিত্র

কচুরিপানায় জড়িয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রপেলার। ভেসেল এক বার ডান দিকে হেলে যাচ্ছে তো আর এক বার কাত হয়ে পড়ছে বাঁ দিকে। ভেসেল জুড়ে পড়েছে কান্নার রোল।

Advertisement

শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাট ছেড়ে যাওয়া এক ভেসেলে শনিবার রাতে এমন অভিজ্ঞতাই হল যাত্রীদের। যা মনে করিয়ে দিল বছর দুয়েক আগের কালনা ঘাটের ভয়াবহ দুর্ঘটনাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১০ টা নাগাদ ভেসেলটি বর্ধমানের কালনা ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। দু’টি লরি, একটি গাড়ি ছিল সেটিতে। ছিলেন জনা দশেক যাত্রীও। কিছু দূর যাওয়ার পরে মাঝগঙ্গায় প্রপেলারে কচুরিপানা আটকে যাওয়ায় ভেসেলের গতি থমকে যায়। গোঁত্তা খেয়ে সেটি এক বার পিছন দিকে, আবার কখনও পাশে কাত হতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রী ও ভেসেলের কর্মীরা। মিনিট দশেক এ দিক ও দিক কাত হওয়ার পর ভেসেলটি পুরোপুরি থেমে যায়। যাত্রী ও ভেসেলের কর্মীরাই ফোনে বিষয়টি ঘাট মালিকদের জানান। খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের নৌকা গিয়ে উদ্ধার করে যাত্রীদের। কিন্তু ততক্ষণে পার হয়ে গিয়েছে প্রায় ঘণ্টা তিনেক। কালনার বদলে তাঁদের ফিরতে হয় নৃসিংহপুর ঘাটে। রাতেই কালনা ঘাট থেকে মিস্ত্রি নিয়ে গিয়ে ভেসেল সারানো হয়।

Advertisement

তবে এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে, নদী পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি আদৌ রয়েছে? প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, কালনার দুর্ঘটনার পরে অনেক আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নৃংসিংহপুর ও কালনা ফেরিঘাটের নিরাপত্তা। নৌকা বা ভেসেলে ওঠার জন্য পাকাপোক্ত জেটি রয়েছে। নজরদারির জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের একটি দল চব্বিশ ঘণ্টা মোতায়েন থাকে। রয়েছে লাইফ জ্যাকেটও। যা পরা বাধ্যতামূলক।

রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “লাইফ জ্যাকেট পরার জন্য নির্দেশিকা রয়েছে। যাত্রীদের নৌকায় ওঠার সময় লাইফ জ্যাকেট হাতে তুলে দেওয়া হয়।” কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীরা সেই লাইফ জ্যাকেট পরতে চান না বলে অভিযোগ ঘাটের কর্মীদের।

যাত্রীদের একাংশের আবার অভিযোগ, নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা হলেও কিছু ফাঁকফোকর এখনও রয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝেই যাত্রিবাহী নৌকায় তুলে দেওয়া হয় মোটরবাইক। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত উদ্ধারের জন্য ঘাটের ধারে মোটা দড়ি রাখার কথা। নৃংসিংহপুর ঘাটে সেটিও নজরে পড়ে না। প্রশাসনের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওই যাত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন