adhir chowdhury

নিজের গড়েই ‘অসহায়’ অধীর! বার্ধক্যভাতা চাওয়া বৃদ্ধাকে হাতজোড় করে ফেরালেন সাংসদ

সাগর থেকে পাহাড়ের পথে শনিবারই মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করে প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। রবিবার রেজিনগরের লোকনাথপুর থেকে পদযাত্রা শুরু করেন অধীররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩১
Share:

মুর্শিদাবাদে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। নিজস্ব ছবি।

মুর্শিদাবাদ তাঁর ‘গড়’ বলেই সমাধিক পরিচিত বঙ্গ-রাজনীতিতে। সেই জেলায় এখন নিজেকেই ‘অসহায়’ বলে দাবি করলেন বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র অগ্রভাগে অধীরকে দেখতে পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন এক বৃদ্ধা। আবদার ছিল, যে ভাবেই হোক বার্ধক্যভাতা পাইয়ে দিতে হবে। তা শুনেই কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘মা, আমি বড় অসহায়! বিধায়ক, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ সবই ওদের দখলে। ওরা পয়সা না পেলে কিছুই দেবে না!’’

Advertisement

সাগর থেকে পাহাড়ের পথে শনিবারই মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। রবিবার রেজিনগরের লোকনাথপুর থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। পথে বহু মানুষ কংগ্রেস নেতাদের কাছে নানান অভিযোগ নিয়ে আসেন। তার প্রেক্ষিতেই অধীর বলেন, ‘‘রাস্তা করার দায়িত্ব জেলা পরিষদের। ঘর দেওয়ার দায়িত্ব পঞ্চায়েতের। আমার হাতে তো ক্ষমতা নেই। আমি অসহায়। বাংলায় লুটের রাজ চলছে।’’ সাংসদদের দাবি, ‘‘আগে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি সব আমাদের হাতে ছিল। তখন মুর্শিদাবাদের সার্বিক উন্নয়নের কথা মানুষের মনে আছে। তাই, আজ মানুষ তাঁদের অভাব-অভিযোগ আমাদের জানাচ্ছেন।’’

অধীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, ‘‘উনি জনভিত্তি হারিয়ে এখন নাটক করছেন। এ ভাবে রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে না। বরং কমবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন