ক্ষীণকায়, তবু তুরুপ সিপিএম

সিপিএম নেতারা মুখে যা-ই বলুন, বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে রাম আর বাম দিব্যি হাত ধরাধরি করে চলছে। হবিবপুরেও কি তা-ই হবে?

Advertisement

সৌমিত্র সিকদার

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

নিজের জোর নেই। কিন্তু টানাটানির বাজারে আবার বেশ পাত্তা পাচ্ছে সিপিএম।

Advertisement

অন্তত রানাঘাট ১ ব্লকের হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তো বটেই। ভোটের ফল বলছে, ওই পঞ্চায়েতে মোট ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি সাতটি, তৃণমুল ও তাদের সঙ্গে থাকা নির্দল মিলিয়ে ছ’টি, সিপিএম দু’টি এবং কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছে। বোর্ড গঠন করতে গেলে কমপক্ষে ন’জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। সিপিএম হাত বাড়ালে বিজেপি অনায়াসে বোর্ড গড়তে পারে।

সিপিএম নেতারা মুখে যা-ই বলুন, বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে রাম আর বাম দিব্যি হাত ধরাধরি করে চলছে। হবিবপুরেও কি তা-ই হবে?

Advertisement

কয়েক দিন আগেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ও বিধায়ক দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তৃণমূলকে ঠেকাতে অন্য দলের সঙ্গে পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে তাঁদের আপত্তি নেই। হবিবপুর পঞ্চায়েতে একক ভাবে বোর্ড গড়ার ক্ষমতা কোনও দলের নেই। তৃণমূল যদি বোর্ড গড়তে চায়, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সমর্থন প্রয়োজন। আবার বিজেপিকেও বোর্ড গড়তে হলে ওই দুই দলের তিন জয়ী সদস্যের অন্তত যে কোনও দু’জনকে সঙ্গে চাই।

সংখ্যার বিচারে পাল্লাটা সামান্য হলেও বিজেপির দিকে ঝুঁকে। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক অলোককুমার দাস অবশ্য দাবি করেন, “কে কী বলছেন, সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। এটুকু বলতে পারি, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ার ব্যাপারে তৃণমূল এবং বিজেপি থেকে সমান দুরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে আমাদের দলের।” জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক বিজয়েন্দু বিশ্বাস বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে আমাদের ভুমিকা কী হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।” তৃনমূল এবং বিজেপি উভয় পক্ষই অবশ্য বোর্ড গড়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি ৩২ নম্বর জেলা পরিষদ সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোষ বলেন, “বোর্ড গড়ার জন্য আমাদের দলের বাইরে থেকে দু’জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। সেটা জোগাড় করে নেব।” রানাঘাট ১ ব্লক তৃনমূল সভাপতি তাপস ঘোষও তাল ঠুকছেন, “অন্য দলের কয়েক জন যোগাযোগ করছেন। হবিবপুরে বোর্ড আমরাই গড়ব।” কার কপালে শিকে ছেঁড়ে, তা ঠিক করবে সিপিএমই!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন