প্রতীকী ছবি।
গোপাল পুজোর মণ্ডপে গন্ডগোলের জেরে তৃণমূল-বিজেপির সমর্থনে ভাগ হল গোটা পাড়া। এই ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে মারধর করার অভিযোগে এক বিজেপিকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার জেরে তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনার জেরে শুক্রবার গোটা এলাকা থমথমে ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভীমপুরের বসন্তনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, স্থানীয় কিছু যুবক সেই পুজো মণ্ডপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে ফাঁকা চেয়ারে লাথি মারে। সে সময়ে মণ্ডপে উপস্থিত মহিলারা এর প্রতিবাদ করায় তাঁদেরকে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। মহিলাদের ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় রুখে দাঁড়ান মহিলারা। শুরু হয় বচসা। চলে আসেন আশেপাশের লোকজন। শেষ পর্যন্ত ওই যুবকেরা মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভীমপুর থানার পুলিশ। একে একে হাজির হন স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপির লোকজন। নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে। সেই সময়ে আকাশ বসু নামে এক বিজেপিকর্মী দেব মিশ্র নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার গালে চড় মারে বলে অভিযোগ। এর পরেই তৃণমূলের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের দাবিতে কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। বেশ কিছু সময় ধরে বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশ আকাশ বসুকে গ্রেফতার করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার পরে আকাশ বসুর মুক্তির দাবিতে ও দেব শর্মা সহ অন্য কয়েক জনকে গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির লোকজনও পথ অবরোধ করে একই জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে পুলিশ তাদেরকে রাস্তা থেকে তুলে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা পোড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য উৎপল দাসের অভিযোগ, “দেব মিশ্র নামে ওই তৃণমূল নেতা আমাদের মহিলাদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছিল। তাতেই রেগে দিয়ে আকাশ একটা চড় মেরেছিল মাত্র। কিন্তু ওদের ছেলেরা যে মহিলাদের মারধর করল, তার বিরুদ্ধে কিছুই ব্যবস্থা নেওয়া হল না। পক্ষপাতিত্ব চলছে। ভোটের আগে আমাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগর ১ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি অলোক বিশ্বাস বলেন, “কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপির লোকজন আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। স্থানীয় মানুষই তার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন।” পুলিশ জানায়, দুই পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।