পণের টাকা না পেয়ে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভরতপুরের সাহাপুর গ্রামের ঘটনা। ওই মহিলার নাম রূপা দাস (২১)। ঘটনার পরে ওই মহিলার বাবা নেতন দাস পুলিশের কাছে জামাই স্বপন দাস-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে রূপাদেবীর বিয়ে হয়েছিল পেশায় দিনমজুর স্বপনের সঙ্গে। ওই বধূর বাবা নেতনবাবুর অভিযোগ, মেয়ের বিয়ের সময় পণ হিসাবে নগদ টাকা ও সোনার গয়না দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের মাস ছয়েক পর থেকেই ফের পণের দাবিতে রূপাদেবীর উপরে চাপ দিতে শুরু করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নেতনবাবুও পেশায় দিনমজুর। ওই টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তারপরেই রূপাদেবীর উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার দিনও তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই বধূকে ঝুলিয়ে দিয়ে চম্পট দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নেতনবাবু বলেন, “পণের টাকা দিতে না পারার কারণেই ওরা আমার মেয়েকে খুন করেছে।’’